ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে অনেক বাংলাদেশিরাও ছিলেন। তাদের মধ্যে তিন বাংলাদেশি যাত্রী বেঁচে ফিরেছেন এবং তারা অংশ নিয়েছিলেন উদ্ধারকাজে। চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাচ্ছিলেন তারা। পথে দুর্ঘটনার শিকার হন। সেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার বর্ণনা করেছেন তারা।
বেঁচে যাওয়া তিন বাংলাদেশি হলেন-মিনহাজ উদ্দিন, হুমায়ুন কবির ও আজমিন আক্তার। তাদের সবার বাড়ি ময়মনসিংহে।
তারা জানান, করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে অনেক বাংলাদেশি যাত্রী ছিলো। এমনকি তাদের বগিতেই অনেক বাংলাদেশি ভ্রমণ করছিল। যাদের অনেকে এখনও নিখোঁজ।
তারা আরও জানান, দুর্ঘটনার পর তারা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কামরার কাঁচ ভেঙে বের হন। বাইরে এসে দেখতে পান বীভৎস দৃশ্য। চারদিকে রক্তাক্ত লাশ, ধ্বংসযজ্ঞ। প্রথমে মৃতদেহের নিচে চাপা পড়া জীবিতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তারা। পরে মিনহাজ এবং হুমায়ুন কামরার ভেতরে উদ্ধারকাজে অংশ নেন। ভোর পর্যন্ত স্থানীয় উদ্ধারকারীদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে যোগ দেন তারা। পরে উদ্ধারকারী প্রতিনিধিরা তাদের হাসপাতালে পাঠান চেকআপের জন্য। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন উদ্ধারকারী প্রতিনিধিরা।
হুমায়ুন বলেন, আমরা চেন্নাইয়ে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছিলাম। দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর এখন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছি। তবে উড়িষ্যার সেই ভয়াবহতা এখনও ভুলতে পারিনি। বিদেশে এসে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবো তা কল্পনা করতে পারিনি।
এদিকে এখন পর্যন্ত ১০ জন বাংলাদেশির খোঁজ দিতে পেরেছে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে ২৭৫ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন উড়িষ্যার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা। বলা হচ্ছে, শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা এটি।