সিরিয়ার খনি থেকে জ্বালানি তেল চুরি অব্যাহত রেখেছে মার্কিন বাহিনী। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ‘সানা’ জানিয়েছে, গত শনিবার সিরিয়ার হাসাকা প্রদেশের খনি থেকে ৪৫টি তেলের ট্যাংকারে করে তেল নিয়ে গেছে মার্কিন বাহিনী।
ইরাক সীমান্তে অবৈধভাবে স্থাপিত মাহমুদিয়া ক্রসিং দিয়ে এসব তেল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসব তেল ট্যাংকারের গন্তব্য হচ্ছে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলো। নিয়মিতই এভাবে সিরিয়ার খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও চুরির ঘটনা ঘটছে বলে ‘সানা’ জানিয়েছে।
সিরিয়ার সরকার প্রথম থেকেই সেদেশের ভূখণ্ড থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও কিছু এলাকায় সেনা মোতায়েন রেখেছে।
সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর অবৈধ উপস্থিতির প্রতিবাদ জানিয়েছে রাশিয়াও। গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সংসদের ফেডারেশন কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান কন্সতান্তিন কোসাচেভ বলেছেন, মার্কিন বাহিনী বেআইনিভাবে সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন রেখেছে। আইন অমান্য করে সেখানে সেনা মোতায়েনের অর্থ হচ্ছে জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের ভূখণ্ড দখলে নেয়া।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন সরকার সিরিয়ার ভূমি দখলে নিয়ে তাদের নিজস্ব সামরিক, রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সেদেশের প্রাকৃতিক সম্পদও লুট করছে।