• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

বাখমুতে অগ্রসরের দাবি ইউক্রেনের

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩

ইউক্রেনীয় বাহিনী বাখমুতের চারপাশে অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হানা মালিয়া। তিনি পূর্ব শহরটিকে শত্রুতার কেন্দ্রস্থল হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তবে এটি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা কিনা সেটি ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানায়নি।
রাশিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে যে, তারা সোমবারের হামলা প্রতিহত করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধে বাখমুত কয়েক মাস ধরে ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। কৌশলগতভাবে বাখমুতের খুব বেশি গুরুত্ব না থাকলেও এটি এখন কিয়েভ এবং মস্কো উভয়ের জন্যই প্রতীকীভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সোমবারের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি। আগের দিন, ইউক্রেনের সামরিক সূত্র জানিয়েছিল যে, ছোট আকারের সাঁজোয়া যান দিয়ে ধারাবাহিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হানা মালিয়া বলেন, কঠোর প্রতিরোধ এবং শত্রুদের তাদের অবস্থান ধরে রাখার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমাদের সামরিক ইউনিটগুলো লড়াইয়ের সময় বিভিন্ন দিকে অগ্রসর হয়েছিল।
তিনি বলেন, ওরিখোভো-ভাসুলিভকা এবং পারসকোভিভকাতে ইউক্রেনীয় সেনারা ২০০ মিটার থেকে ১৬০০ মিটার (৬৫৬-৫,২৫০ ফুট), ইভানিভস্কে এবং ক্লিশচিভকাতে তারা ১০০ মিটার থেকে ৭০০ মিটার (৩৩০-২,৩০০) এর মধ্যে অগ্রসর হয়েছিল।
চারটি গ্রামই বাখমুতের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুতের যুদ্ধই সবচেয়ে দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী ছিল।
সোমবার এক ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, বাখমুতে আমরা যে সংবাদটি আশা করছি সেটি প্রদানের জন্য ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের ধন্যবাদ।

রাশিয়ান আধাসামরিক গোষ্ঠী ওয়াগনার মে মাসের শেষের দিকে শহরটি দখল করার দাবি করেছিল। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিছু বিশেষজ্ঞ জানিয়েছিলেন যে, কিয়েভের বাহিনী বাখমুতকে ঘিরে ফেলার এবং রাশিয়ান ইউনিটগুলোকে আটকানোর চেষ্টা করছে।
রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি বড় ইউক্রেনীয় পাল্টা আক্রমণ দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ছিল, কিন্তু কিয়েভ ইতিমধ্যে বলেছে যে তারা এটি কখন শুরু করবে সেটি আগে থেকে জানাবে না। ইউক্রেন দাবি করেছে যে, সামরিক তৎপরতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে। তারা সামনের সারিতে সামান্য অগ্রসর হয়েছে।
এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে যে, দোনেৎস্ক ইউক্রেনের বাহিনীর একটি নতুন আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে।
রাশিয়া জানিয়েছে, আক্রমণ করার পর ইউক্রেনীয় বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২৮টি ট্যাঙ্ক (আটটি জার্মান-নির্মিত চিতাসহ) ধ্বংস করা হয়েছে।
যদিও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই অঞ্চলে এমন বড় ধরনের হামলার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ