মোহাম্মদ বিন সালমান ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু – ছবি : সংগৃহীত
সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে খুবই আগ্রহী ইসরাইল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এ ব্যাপারে সৌদি আরবকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তবুও ইসরাইল চায় না সৌদি আরব পরমাণু প্রযুক্তি হাসিল করুক। এমনকি ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্তের মধ্যেও বিষয়টিকে স্থান দিতে চাচ্ছে না। ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী বিষয়টি স্পষ্টভাবেই প্রকাশ করেছেন।
ইসরাইলি জ্বালানিমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ সোমবার একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই ইসরাইলের উচিত হবে না এ ধরনের বিষয়কে উৎসাহিত করা।’
ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের ব্যাপারে সৌদি কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচিতে সহায়তা এবং অস্ত্র বিক্রিতে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের শর্ত উত্থাপন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদি সৌদি আরবকে পরমাণু প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে চায়, তবে ইসরাইল তাতে ভেটো দিতে পারে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ দিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপারে তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইলের সাথে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছে।
সৌদি আরব অনেক দিন ধরেই পরমাণু কর্মসূচি বিকশিত করার চেষ্টা করে আসছে। মোহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনায় সৌদি আরবের পরমাণু শক্তি ব্যবহার করা এবং সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রফতানির কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বাধার কারণে সৌদি আরব এ দিক থেকে এগুতে পারছে না। তবে তারা চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে এ ব্যাপারে সহায়তা পাওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারে।