পাকিস্তান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান সম্পর্কিত সংবাদ পরিবেশন বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির মূলধারার প্রায় সংবাদমাধ্যম। টিভি চ্যানেল-নিউজ পোর্টালে ইমরানের ছবি প্রদর্শন; এমনকি নামও উচ্চারণ করা হচ্ছে না। সোমবার ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি ।
গত ৯ মে ইমরান খানকে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিবাদে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন অবকাঠামোয় হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে পিটিআই সমর্থকেরা। এর জেরে সম্প্রতি গণমাধ্যম মালিকদের ডেকে এক গোপন বৈঠকে করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই ইমরান খানের সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করে দেয় দেশটি গণমাধ্যম। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে ‘অদৃশ্য’ হয়ে গেছে ইমরানের ছবি ও নাম।
পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি (পিইএমআরএ) এক নির্দেশনায় বলেছে, ঘৃণাসম্পন্ন, সহিংসতাকারী-তাদের সহযোগী এবং অপরাধীদের মিডিয়ায় প্রদর্শন যেন পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে এতে সরাসরি ইমরান খানের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তবে রয়টার্সের জরিপ বলছে, এরপর থেকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও অন্যতম জনপ্রিয় নেতা ইমরান খানের নাম ও ছবি সম্প্রচারিত হচ্ছে না। এমনকি সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলো থেকেও অদৃশ্য হয়ে গেছে ইমরানের সংবাদ।
সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য দেয়া নির্দেশনা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে জড়িত কি না, এমন প্রশ্ন ও মন্তব্যে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি পিইএমআরএ কর্মকর্তারা।
নিজের দলের ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া বক্তব্যে ইমরান বলেন, আমরা টেলিভিশনে কথা বলতে পারছি না। ইমরান খানের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চারটি প্রধান সংবাদমাধ্যমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি ইমরান খানের দলের সমর্থিত হিসেবে পরিচিত এআরওয়াই নিউজেও গতকাল সোমবার তাকে নিয়ে কোনো খবর প্রকাশিত হয়নি।
এদিকে, ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের জেরে সহিংসতার পর গ্রেপ্তার হওয়া সমর্থকদের অধিকাংশকেই মুক্তি দিয়েছে ইসলামাবাদের আদালত। পিটিআইর নেতা আলী আওয়ান দাবি করেন, ৩৪টি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মোট ৭১৬ জনের মধ্যে ৬৯১ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।