সংগৃহীত ছবি
ড্রোন শিল্পে অনেক উন্নতি করেছে ইরান। সম্প্রতি নিজেরাই এমন দাবি করেছে দেশটি। এর মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইরানি ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এমনকি এই ড্রোনের কারণেই ঘুরে যায় যুদ্ধের মোড়। পশ্চিমাদের ব্যাপক অস্ত্র সরবরাহ সত্ত্বেও যুদ্ধে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ইউক্রেনীয় বাহিনী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তার পশ্চিমা মিত্র ও ইউক্রেন প্রায়ই ইরানি ড্রোনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকে। এবার আরও উদ্বেগ জানিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আনল আমেরিকা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রাশিয়া ও ইরানের মধ্যকার সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে। ইরান শত শত ড্রোন পাঠিয়েছে রাশিয়ায়। রুশ বাহিনী সেগুলো ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করছে। এখন এই ড্রোন রাশিয়ার অভ্যন্তরেই তৈরির জন্য সেখানে কারখানা স্থাপন করতে একসঙ্গে কাজ করছে দুই দেশ।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
নতুন তথ্যের ভিত্তিতে হোয়াইট হাউস বলছে, ইরানে তৈরি হওয়া ড্রোন বা চালকবিহীন উড্ডয়ন যানগুলো (ইউএভি) কাস্পিয়ান সাগর হয়ে রাশিয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। রুশ বাহিনী সেগুলো ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করছে।
জন কিরবি বলেন, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় কিয়েভে হামলা চালাতে এবং ইউক্রেনের জনগণকে ভয় দেখাতে রাশিয়া ইরানের তৈরি ইউএভি ব্যবহার করছে।”
তিনি আরও বলেন, রাশিয়াতেই যেন ইরানি ড্রোন তৈরি করা যায়, তা নিশ্চিত করতে তেহরানের সঙ্গে কাজ করছে মস্কো। এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, একটি ড্রোন কারখানা গড়তে ইরানের কাছ থেকে রাশিয়া প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করছে— যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন তথ্য আছে। রাশিয়ার আলাবুগা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ড্রোন উৎপাদনের কারখানাটি তৈরির কথা ভাবছে মস্কো। আগামী বছরের শুরুর দিকে এটি পুরোদমে চালু হতে পারে।
আমেরিকা ওই এলাকার স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে বলে উল্লেখ করেন জন কিরবি।
তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র, ইলেকট্রনিকস, আকাশ প্রতিরক্ষাসহ নজিরবিহীন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ব্যাপারে ইরানকে প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। এটি পূর্ণমাত্রার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, যা ইউক্রেন, ইরানের প্রতিবেশী দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য হুমকির কারণ হবে।