ছবি: সংগৃহীত
সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হওয়ার কথা পাকিস্তানে। তার আগে গত শুক্রবার (৯ জুন) শেষবারের মতো পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার। তবে নির্বাচনমুখী বাজেটে বড় কোনো চমকের পথে হাঁটেনি শাহবাজ় শরীফের সরকার। বরং বাজেটের অর্ধেকেরও বেশি টাকা ঋণ মেটানোর জন্য তুলে রাখা হচ্ছে। তার ওপর, পাহাড়সম ঋণের চাপ সত্ত্বেও সরকারি কর্মীদের বেতন একলাফে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা।
পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতির হার এখনো আকাশছোঁয়া। বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ও শেষ হওয়ার পথে। এ অবস্থায় বৈদেশিক বাণিজ্য চালাতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিনিময় প্রথার অনুকরণে পণ্যের বিনিময়ে পণ্য ফর্মুলায় এগোতে চাইছে পাকিস্তান সরকার।
শুক্রবার পাকিস্তানি অর্থমন্ত্রী মোট ১৪ দশমিক ৫ লাখ কোটি রুপির বাজেট পেশ করেছেন। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৩ লাখ কোটি রুপিই খরচ হবে ঋণ মেটানোর কাজে।
বাজেটে চমক বলতে রয়েছে ১ম থেকে ১৬তম গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ৩৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। ১৭তম থেকে পরের গ্রেডগুলোর কর্মীদের বেতন বাড়বে ৩০ শতাংশ হারে। এছাড়া সরকারি কর্মীদের অবসরকালীন ভাতাও ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ন্যূনতম বেতন ৩২ হাজার রুপি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে সরকারি কর্মীদের মন পেতেই পাকিস্তানের জোট সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঋণ দেওয়ার প্রাথমিক শর্ত হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আগেই পাকিস্তান সরকারকে জানিয়েছিল, নতুন করে কোনো জনমুখী প্রকল্প চালু করতে পারবে না তারা। সেই কথা মাথায় রেখেই শাহবাজের সরকার কোনো চমক দেখানোর পথে হাঁটলো না, নাকি পরবর্তী নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হওয়ায় এমন সাহসী পদক্ষেপ নিলো, তা স্পষ্ট নয়।