ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শক সিনড্রোমে এবার বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহম্মদ খুরশীদ আলম।
তিনি জানান, এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের প্রায় প্রত্যেকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিন্ড্রোমে মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যের ডিজি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, আমরা ক্লিনিক্যালি তাদের মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করেছি। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মৃতদের প্রায় প্রত্যেকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিন্ড্রোমে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে। যা জানার জন্য অটোপসি করা প্রয়োজন। কিন্তু তা পরিবার অনুমোদন দেবে না। আর এটা সাধারণ প্র্যাকটিসও নয় বলে জানান তিনি।
খুরশিদ আলম বলেন, অন্যান্য বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও এ বছর শীত ও গ্রীষ্মে হাসপাতালে রোগীর ভিড় দেখা যাচ্ছে।তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ পুরোপুরি প্রস্তুত বলে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, তবে মশা নিধন করাটা সব থেকে জরুরি। সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, একটা অভিযোগ রয়েছে- হাসপাতালে ভর্তি অনেক ডেঙ্গু রোগী মশারির ভেতরে থাকতে চান না। এতে চিকিৎসক-নার্সসহ অন্য রোগে আক্রান্তদের ঝুঁকি বাড়ছে। সবাইকে নিয়ম মেনে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা সরকারি হাসপাতালে ১০০ এবং বেসরকারিতে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। কেউ বেশি নিলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে অধিদপ্তর।