• বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন

বাইডেনকে সত্যিই কি হুমকি দিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ?

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩

জো বাইডেন (বামে) ও মোহাম্মদ বিন সালমান। সংগৃহীত ছবি

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কপালে চিন্তার ভাঁজ। সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘটনায় আমেরিকার এই চিন্তার ভাঁজ আরও সুস্পষ্ট হয়েছে। এছাড়াও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে তেলের উৎপাদন কমানো নিয়েও সৌদি আরবের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। তেল উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্তকে ঘিরে সৃষ্ট তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নাকি হুমকি দিয়েছিলেন সৌদি আরব যুবরাজ ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি নাকি মার্কিন অর্থনীতি ধসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের বেশ কিছু গোপন নথি ফাঁস হয়েছে। সেগুলো এখন বিভিন্ন মার্কিন মেসেজিং অ্যাপে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সৌদি যুবরাজের হুমকির বিষয়টিও নাকি ওইসব নথির একটি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গত বছর জুন থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে শুরু হয় মন্দাভাব। এই পরিস্থিতিতে তেল বিক্রি থেকে মুনাফা নিশ্চিত করতে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে খনি থেকে পেট্রোলিয়ামের উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেয় জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় ছিল জোটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সৌদি আরব।
ফাঁস হওয়া গোপন নথি বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, সৌদি আরব এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরপরই যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ফোন করেন বাইডেন এবং তাকে এই চিন্তা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি বলেন, সৌদি সরকার যদি তেলের উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে—সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে তার ‘পরিণতি’ সৌদিকে ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

তবে বাইডেনের এই হুঁশিয়ারিতে দমে না গিয়ে পাল্টা জবাবে যুবরাজ বলেন, তেলের উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্তকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র যদি সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কোনও প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়— সেক্ষেত্রে দেশটির সঙ্গে যাবতীয় অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে সৌদি এবং সেক্ষেত্রে তা ওয়াশিংটনের জন্য আরও বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।

তারপর এই প্রসঙ্গে উভয় নেতার কথাবার্তা আর এগোয়নি। ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত অক্টোবরেই জ্বালানি তেলের উত্তোলন হ্রাস করেছে সৌদি আরব। বাইডেনও এই কারণে সৌদির ওপর কোনও কঠোর সিদ্ধান্ত নেননি।

প্রসঙ্গত, সৌদি রাজপরিবারের সমালোচক এবং ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সৌদি যুবরাজের ওপর অসন্তুষ্ট ছিলেন বাইডেন। যুবরাজ যদিও বলেছেন, খাসোগি হত্যায় তার কোনও সংশ্লিষ্টতা ছিল না, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাতে আস্থা রাখতে পারেননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ