ফ্রন্টলাইনে সেনাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ফাইল ছবি:
অবশেষে ইউক্রেনে যুদ্ধরত রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষিত’ পাল্টা আক্রমণ চলছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বিস্তারিত না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পাল্টা হামলা ও প্রতিরক্ষা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’ রবিবার বিবিসি ও সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
পশ্চিমাদের দাবি, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে যুদ্ধ করে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড থেকে তাদের বিতাড়িত করতে অনেক দিন থেকেই ‘পাল্টা আক্রমণ’ শুরু হচ্ছে বলে, আওয়াজ দিয়ে আসছিল কিয়েভ। কিন্তু কখন শুরু হচ্ছে, তা স্পষ্ট করেনি দেশটি। এর মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বে ও দক্ষিণ থেকে তীব্র লড়াইয়ের খবর আসছে। রাশিয়ার অভ্যন্তরেও হামলা হচ্ছে। শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেন, ‘ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। রুশ বাহিনী তা ব্যর্থ করে দিচ্ছে।’
পুতিনের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই শনিবার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘পাল্টা আক্রমণ সম্পর্কে পুতিন যা বলেছেন তা গুরুত্বপূর্ণ। তার চেয়ে বড় কথা হলো, রাশিয়া এর প্রভাব অনুভব করছে। আমার মতে, তাদের আর বেশি দিন বাকি নেই।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনিসহ সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ করছেন। ‘সবাই এখন ইতিবাচক। এই কথাটা পুতিনকে বলুন!’
এই ঘোষণা দেওয়ার আগে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অঘোষিত সফরে এসে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইউক্রেনকে ৫০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেন তিনি।
দুই নেতার আলোচনার পর যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘কানাডা ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্য হওয়ার সমর্থন করছে। বিষয়টি জুলাইয়ে লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে ন্যাটো সম্মেলনে উত্থাপন করা হবে।’
এদিকে ইউক্রেনে রুশ নিয়ন্ত্রিত খেরসনের একাংশ, ডনেস্কের বাখমুতসহ অনেক জায়গায় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ভারী হামলা চলছে। রুশ বাহিনীর সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বাখমুতের কাছের কয়েকটি ফ্রন্টলাইনে বড় ধরনের অগ্রগতির ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র সেরহি চেরেভেতি। শনিবার তিনি দাবি করেছেন, ‘২৪ ঘণ্টায় পূর্বের এই শহরটির কাছে ১ হাজার ৪০০ মিটার পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে আমাদের সেনারা।’