রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের প্রতীক্ষিত কার্গো ৫০ হাজার টন তেল নিয়ে রোববার পাকিস্তানের করাচি পোর্ট ট্রাস্টে নোঙর করেছে। রাশিয়ার কাছ থেকে ছাড়ে পাওয়া এই তেল ওমানের বন্দর হয়ে পাকিস্তানের জলসীমায় পৌঁছেছে।
পাকিস্তান স্টেট অয়েলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ান অপরিশোধিত পণ্য বহনকারী একটি কার্গো জাহাজ রোববার ভোর ৩টায় করাচি পোর্ট ট্রাস্ট (কেপিটি) এখতিয়ারে পৌঁছেছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কেপিটিতে নোঙর করেছে।
তিনি বলেন, আজ থেকে অপরিশোধিত তেল অফলোড করার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং পাকিস্তান রিফাইনারি লিমিটেড (পিআরএল) স্টোরে সংরক্ষণ করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করার পর তেলের গুণমান, ফলন, পরিবহন খরচ এবং বাণিজ্যিক কার্যকারিতা নিয়ে সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। প্রতিবেদনের অনুমোদনের পর, সরকার রাশিয়ার সাথে জিটুজি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে যাবে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ান কার্গো এক লাখ টন অপরিশোধিত তেল বহনকারী একটি পাইলট জাহাজ ২৭-২৮ মে ওমানে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে সেটি সময়সূচি পিছিয়ে ৭ জুন ডুকম ওমানি বন্দরে পৌঁছায়।
পরে ওমান থেকে ৫০ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি ছোট জাহাজে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানে অপরিশোধিত পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা করে। জাহাজটি ডুকমে ফিরে যাবে এবং ২০ জুনের মধ্যে অবশিষ্ট ৫০ হাজার টন অপরিশোধিত তেল পাকিস্তানে আনবে।
পাকিস্তান তার অপরিশোধিত তেলের ৭০ শতাংশ আমদানি করে। এগুলো পিআরএল, ন্যাশনাল রিফাইনারি লিমিটেড, পাক আরব রিফাইনারি লিমিটেড এবং বাইকো পেট্রোলিয়াম পরিশোধন করে।
বাকি ৩০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন এবং পরিশোধন করে অ্যাটক রিফাইনারি লিমিটেডসহ স্থানীয় শোধনাগারগুলো। বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে পাকিস্তান তার তেল আমদানির উৎসকে বৈচিত্র্য আনতে চাইছে বলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনে হামলার পর বহুমুখী নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে রাশিয়া। এমন অবস্থায় বিশ্বের অপরিশোধিত তেলের অন্যতম উৎপাদক দেশটি ব্যাপক ছাড়ে তেল বিক্রি করছে। ভারত ব্যাপকভাবে রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় বাড়িয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানও রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়ের চেষ্টা করছে।
প্রাথমিকভাবে এক লাখ টন তেল নেবে পাকিস্তান। সেটি ঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে চুক্তি বাড়াবে দুই দেশ। ব্যাংক অব চায়নার মাধ্যমে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে রাশিয়াকে তেলের মূল্য পরিশোধ করবে পাকিস্তান।