ভারত-পাকিস্তান উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ‘অতি মারাত্মক’ থেকে দুর্বল হয়ে এখন ফের ‘অতিপ্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। কিছুটা দুর্বল হয়ে গেলেও ঘূর্ণিঝড়টি প্রচন্ড শক্তি নিয়ে কাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। আর এ কারণে দুই দেশ থেকেই ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর মঙ্গলবার সর্বশেষ আপডেটে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে যাওয়ার কথা জানায়।
বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা স্কাইমেট জানিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা মঙ্গলবার ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। আর তাপমাত্রা কমার বিষয়টি ঘূর্ণিঝড়টিকে অতি মারাত্মক থেকে অতিপ্রবলে নামিয়ে এনেছে।
এখন ধারণা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টির মূল আঘাত হবে ভারতের গুজরাটের কুচ ও সৌরাষ্ট্রে এবং পাকিস্তানের করাচিতে।
গতকাল সর্বশেষ আপডেটে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়টি ৫ কিলোমিটার গতিবেগে আগাচ্ছিল এবং এটি বৃহস্পতিবার উপকূলে আঘাত হানবে।
হাওয়াইভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার (জেটিডব্লিউসি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় গত ১২৬ ঘণ্টা ধরে প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে সমুদ্রের ওপর অবস্থান করছে। ১৯৮২ সালের পর আরব সাগরে সৃষ্ট কোনো ঘূর্ণিঝড় এত লম্বা সময় শক্তি ধরে রাখেনি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে গতকাল মঙ্গলবারের মধ্যে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের করাচির উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে ১ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সিন্ধ প্রদেশে সব ধরনের পরীক্ষা এবং শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হতে যাওয়া অতিবৃষ্টির কারণে সিন্ধে মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা ভেঙে যেতে পারে।
অপরদিকে ভারতের গুজরাট থেকে ৩০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ভারতের ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭টি ট্রেন যাত্রা বাতিল করেছে। সূত্র: জিও নিউজ