বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তবে তিনি এখন ঝুঁকিমুক্ত বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘ম্যাডামের পরীক্ষা নিরীক্ষা সব শেষ হয়েছে। প্রাইভেসির কারণে সেগুলো প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় দায়িত্বরত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই টুকু বলতে পারি, ম্যাডাম ঝুঁকিমুক্ত।’
এবিষয়ে জানতে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, ‘সোমবার রাতে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল।’
বেগম খালেদা জিয়া সোমবার দিবাগত রাতে অসুস্থ বোধ করায় রাত ১টা ২০ মিনিটে ছোটভাই শামীম এস্কান্দারের কালো রঙের একটি গাড়িতে করে হাসপাতালের উদ্দেশে বাসা থেকে রওনা হন বিএনপি চেয়ারপারসন। ওই গাড়িতে শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমাও ছিলেন। রাত ১টা ৪০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান। এরপর কিছু পরীক্ষা শেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
উল্লেখ্য, ২৯ এপ্রিল নিয়মিত চেকআপ করতে যান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরে তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হন। কয়েকদিন পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি তার বাস ভবন ফিরোজায় ফিরে যান। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে। এরপর কয়েক দফায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।