• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন

সরকার ভয় পেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বন্দী রেখেছে: রিজভী

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার আবারও একটি পাতানো নির্বাচন করতেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। তিনি অবিলম্বে আটক সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন।

 

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দাবিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দ। স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল মনসুর খান দীপকের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী ও ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, যুবদলের কামরুজ্জামান জুয়েল, ওলামা দলের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলাল খান প্রমুখ।

 

প্রধান অতিথি রুহুল কবির রিজভী আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ায় ফেরার পথে ব্যাপক যানজটের কারণে মানববন্ধনে উপস্থিত হতে পারেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বক্তব্য দেন।

 

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকার চায় অপেক্ষাকৃত বিএনপির তরুণ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দী রাখতে। কারণ সরকার চায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে। অথচ অনেক নেতা জামিনে আছেন। তাদেরকে নো অ্যারেস্ট নো হ্যারেজ করতে আদালতের নির্দেশ আছে। কিন্তু সরকার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করছে।

 

‘বিদেশিদের চাপে সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মাথানত করবেনা’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, আসলে বিদেশিদের সোচ্চারকণ্ঠকেও তারা চাপ মনে করেন না। আরও একটি পাতানো নির্বাচন করতেই গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের বন্দী রেখেছে। যাতে ক্ষমতায় থেকে অবাধে দুর্নীতি করতে পারে, জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করা যায়, তাদের পরিবার যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পেয়ে নেতাকর্মীদের আটক রেখেছে। কারাবন্দী নেতা রফিকুল আলম মজনু, সাইফুল আলম নীরব, এসএম জাহাঙ্গীর, গোলাম মাওলা শাহিন, আজিজুর রহমান মুসাব্বিরসহ যাদেরকে আটক রাখা হয়েছে তাদের সবার মুক্তি দাবি করেন রিজভী।

 

বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু বলেন, আমাদেরকে জেল জুলুমের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। জিয়াউর রহমানের সৈনিকেরা এসব ভয় পায়না। এই হাসিনা সরকারের সময় শেষ। তার পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। পশ্চিমা বিশ্ব তাদেরকে লালকার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। সুতরাং সরকারকে বাংলাদেশের মাটি থেকে যেতে হবে। তার অধীনে কখনোই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। যার প্রমাণ বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একজন আলেম মানুষের গায়ে হাত তুলেছে। তাহলে তাদের অধীনে কিভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে? অতএব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তা না হলে জনগণ তাদের দাবি আদায় করে নিবে। ইতোমধ্যে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও তরুণ সমাজ জেগে উঠেছে। এখনো সময় আছে পদত্যাগ করে জাতিকে মুক্তি দিন।

 

নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেন, বর্তমান সরকার এসএম জাহাঙ্গীরকে যে অপরাধে আটক করেছে সেগুলো কিন্তু তারাই করছে। তারা অহরহ তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। তারা আমাদেরকে গ্রেপ্তার করে করাগারে নিয়ে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করছে। সুতরাং আইন তো সরকার নিজেই ভঙ্গ করেছে।

 

তিনি বলেন, আমরা এসএম জাহাঙ্গীরসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করছি। সরকার তাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে পরিণতি ভালো হবে না। ইতোমধ্যে এই সরকার সারা বিশ্বে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আমরা দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইনশাআল্লাহ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। আমি দেশবাসীকে বলবো আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমরা আপনাদের জন্য আন্দোলন করছি। আপনারা যেন সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন সেজন্য বিএনপি প্রস্তুত


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ