বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলা যখন উৎপাদন সীমিত করছে, ঠিক সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে ইরানের অপরিশোধিত তেল রপ্তানি। শনিবার (১৭ জুন) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করায় দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে কমে যায়।
সাধারণত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে ইরান তার তেল রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে না। যদিও রয়টার্স জানিয়েছে, যেসব দেশে ইরানের তেল রপ্তানি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে সেসব দেশের মধ্যে রয়েছে চীন, সিরিয়া ও ভেনেজুয়েলা। এছাড়া জার্মানি, স্পেন ও বুলগেরিয়ার মতো ইউরোপীয় দেশগুলোও ইরানের তেল আমদানি করেছে।
২০১৮ সালের মে মাসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার পর তেহরানের তেল রপ্তানি কমে যায়। তবে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে তেল রপ্তানি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেছে।
গত মাসে ইরান দৈনিক গড়ে ১৫ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল রপ্তানি করে, যা ২০১৫ সালে মে মাসের পর এক মাসে সর্বোচ্চ রপ্তানি। যদিও তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের তথ্যমতে, গত মাসে দেশটি দৈনিক গড়ে ৩০ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল রপ্তানি করেছে।