ইরানের পতাকাবাহী ওয়েল ট্যাংকার । ছবি- সংগৃহীত
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে তেল রপ্তানিতে সর্বোচ্চ রেকর্ড অতিক্রম করেছে ইরান। ২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা করে। শনিবার কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্ত সংস্থা রয়টার্স।
দেশটির জ্বালানি তেলমন্ত্রী জাভেদ ওউজি জানিয়েছেন, ২০২১-২২-এর তুলনায় ২০২২-২৩ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৩০ লাখ ব্যারেল তেল বেশি রপ্তানি করেছে। আর দুই মৌসুম আগের তুলনা করলে ১৯ কোটি ব্যারেল বেশি তেল রপ্তানি করছে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সব নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশটি।
গত বছরের তুলনায় ২০২২-২৩ মৌসুমে গ্যাস রপ্তানিও বেড়েছে ১৫ শতাংশ। মূলত চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ছাপ পড়তে দিচ্ছে না ইরানের তেলের বাজারে। ইরানি তেল ও গ্যাসের প্রধান ক্রেতাই চীন।
সাধারণত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে ইরান তার তেল রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে না। যদিও রয়টার্স জানিয়েছে, যেসব দেশে ইরানের তেল রপ্তানি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে সেসব দেশের মধ্যে রয়েছে চীন, সিরিয়া ও ভেনেজুয়েলা। এছাড়া জার্মানি, স্পেন ও বুলগেরিয়ার মতো ইউরোপীয় দেশগুলোও ইরানের তেল আমদানি করেছে।
২০১৮ সালের মে মাসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার পর তেহরানের তেল রপ্তানি কমে যায়। তবে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে তেল রপ্তানি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেছে।
গত মাসে ইরান দৈনিক গড়ে ১৫ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল রপ্তানি করে, যা ২০১৫ সালে মে মাসের পর এক মাসে সর্বোচ্চ রপ্তানি। যদিও তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের তথ্যমতে, গত মাসে দেশটি দৈনিক গড়ে ৩০ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল রপ্তানি করেছে।