আটলান্টিকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার মিশনে যেতে টিকিট কেটেছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক ক্রিস ব্রাউন। ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিংয়ের সঙ্গে তারও ওই মিশনে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সাবমেরিনটির নিরাপত্তার নানা বিষয়ে প্রশ্ন তুলে সেই টিকিট শেষ পর্যন্ত বাতিল করেন তিনি।
রোমাঞ্চ প্রিয় ব্রাউনের মনে হয়েছিল ওই সাবমেরিনের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনেকটা কম্পিউটার গেমের মতো।
২২ ফুটের মিনি সাবমেরিনটির সব অক্সিজেন বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার মধ্যেই ফুরিয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন উদ্ধারকারী দলের প্রধান। ফলে যাত্রীদের বেঁচে ফেরার আশাও ফিকে হয়ে আসছে।
ক্রিস ব্রাউন বলেছেন, তিনি সাবমেরিনটির প্রযুক্তিক মান নিয়ে শঙ্কিত হওয়ায় ওশানগেট এক্সপেডিশনের ওই অভিযান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। তার দাবি, কম্পিউটার গেমের মতো ডিভাইস দিয়ে বাহনটি নিয়ন্ত্রণ করা হয় জেনেই তিনি এই সফর বাতিল করেন।
সাবমেরিনটির চালক লজিটেক গেমিং কন্ট্রোলারকে মডিফাই করেই এই জলবাহনটির নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম বানিয়েছিলেন।
ক্রিস বলেছেন, ‘আমি দেখলাম স্টিলের এক ধরনের পাইপ ব্যবহার করে এই সাবমেরিনের স্থিতিশীল-ব্যবস্থা বানানো হয়েছে। আর কম্পিউটার গেমের মতো এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।’ ‘যদি আপনি নিজের জন্য সাবমেরিন বানানোর চেষ্টা করেন তবে আপনি এই ধরনের পাইপ ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটা ছিল বাণিজ্যিক বাহন।’
ব্রাউনের অভিযোগ, ‘আমি বিষয়টি তাদের ইমেইলে জানিয়ে বলেছিলাম, আমি এমন বাহনে যাওয়ার জন্য সক্ষম নই। আমি তাদের কথায় আশ্বস্ত হতে না পেরে রিফান্ডের আবেদনও করেছিলাম।’
ব্রাউন আরো জানিয়েছেন, ‘ওশানগেটের ওই ট্রিপের জন্য সই করা প্রথম ব্যক্তি ছিলাম আমি।’ তার মতে, প্রযুক্তিকভাবে তিনি এই বাহনটির প্রতি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। কারণ এটি তার কাজের লক্ষ্য পৌঁছাতে পারেনি।