বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচল করা ট্রেনগুলোর ভাড়া বাড়ছে। আগামী ১ জুলাই থেকে মৈত্রী, মিতালী ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের বাড়তি ভাড়া কার্যকর করা হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ইন্টারচেঞ্জ) মো. মিহরাবুর রশিদ খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ৬ জুনের ওই আদেশে বলা হয়, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সংগতি রেখে আন্তর্দেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস ও মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের নির্ধারিত ভাড়া সমন্বয় করা হয়ে থাকে।
মৈত্রী এক্সপ্রেসে রেলপথে ঢাকা-কলকাতা এসি সিটের ভাড়া চার হাজার ৭৯৫ টাকা করা হয়েছে, যা বর্তমানে ভাড়া রয়েছে চার হাজার ১৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া দুই হাজার ৯৬৫ টাকা থেকে বেড়ে তিন হাজার ৫৩০ টাকা করা হয়েছে। এক থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অনুসারে বয়স নির্ধারিত হবে।
সিঙ্গেল কেবিনে তিনটি সিট এবং ডাবল কেবিনে ছয়টি সিটের টিকিট দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই রেলপথের দূরত্ব ৫৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভারত অংশে ৮৪ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অংশে ৪৪৬ কিলোমিটার।
এই পথের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এসি চেয়ার তিন হাজার ৭৮৫ টাকা, যার বর্তমানে ভাড়া রয়েছে তিন হাজার ২১০ টাকা। এসি সিট চার হাজার ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার হাজার ১৭৫ টাকা এবং এসি বার্থ পাঁচ হাজার ৯১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ছয় হাজার ৫৭০ টাকা করা হয়েছে।
২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয়। ট্রেনটি সপ্তাহে পাঁচ দিন (শুক্র, শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার) ঢাকা থেকে কলকাতা যায়। আর কলকাতা থেকে ঢাকা আসে সপ্তাহে পাঁচ দিন (শুক্র, শনি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার)।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয়। এই ট্রেনটি খুলনা-কলকাতা রুটে চলাচল করছে। ট্রেনটিতে এসি সিট ও এসি চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে।
খুলনা-কলকাতার এসি সিটের ভাড়া বাড়িয়ে দুই হাজার ৯০০ টাকা করা হয়েছে। এসি চেয়ারের ভাড়া বাড়িয়ে দুই হাজার ২৬৫ টাকা করা হয়েছে। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ভাড়া হবে মূল ভাড়ার ৫০ শতাংশ।