গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে থাকা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় তাকে একটি প্রিজনভ্যানে করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান।
তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে বন্দি আছেন পাপিয়া। ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেলবিধি অনুযায়ী শামীমা নুর পাপিয়াকে ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি রুনা লায়লা নামের এক হাজতিকে সম্প্রতি নির্যাতন করেন, তার কাছ থেকে টাকাপয়সা লুট করে নেন এমন অভিযোগে রুনার ভাই আব্দুল করিম জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও করেন। পরে গঠন করা হয়েছে দুটি তদন্ত কমিটি।
নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর রুনার দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন ফাতেমা তার কাছে সাত হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তার সহযোগী কয়েদিরা গত ১৯ জুন রুনার ওপর অমানবিক নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ তার পরিবারের। একপর্যায়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রুনাকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। সেখানে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বন্দি,দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তবে শামীমা নুর পাপিয়ার ভয়ে সাধারণ কয়েদিরা রুনা লায়লার ওপর অমানুষিক নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে পারেননি কেউ।