মঙ্গলবার রাতে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম সুজন (২৩)। সে একই উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের হেঙ্গাডোবা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আনারুল হকের ছেলে। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে তাকে গোপনে দাফন সম্পন্ন করতে চাইলে খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে বুধবার সকালে পোষ্টমর্টের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে সুজনসহ একদল চোরাকারবারী গরু আনতে সুকানী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় গেলে বিএসএফের টহলদলের সদস্যরা ভোরে তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে সুজন গুলিবিদ্ধ হয়। তার সঙ্গীরা বাংলাদেশি এলাকায় নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বিএসএফের গুলিতে সুজন নামে এক চোরাকারবারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করেছে। সুরতহালে উরু ও অণ্ডকোষে গুলি লেগেছে। এই ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বুধবার সকালে লাশ পোষ্টমোর্টেমের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।