সিলেট তামাবিল মহাসড়কে সব ধরনের বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সিলেটের বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটি। বাসচাপায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাইয়ের দাবিতেই এমন কর্মসূচি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে সালিশ সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।
শনিবার(৮জুলাই) রাতে জৈন্তাপুর দরবস্ত বাজার মসজিদে জরুরি বৈঠক শেষে এরকম ঘোষণা দেয় সালিশ কমিটি ।
দরবস্ত বাজার পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বাস চাপায় টমটমের (ইজিবাইক) পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনা থেকেই সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে রবিবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা কার্যকর হবে বলে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সালিশ কমিটি।
এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন, সালিশ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেট তামাবিল মহাসড়কে রবিবার থেকে কোনো ধরনের বাস-মিনিবাস চলাচল করতে পারবে না। তবে অন্য যেকোন যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলবে। কারণ দরবস্ত বাজারে বাসচাপায় ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসমালিক সমিতি বা এই রুটের পরিবহনের সঙ্গে জড়িত কেউই দুঃখ প্রকাশ করেনি। এমনকি আহত বা নিহত পরিবারের কোন খোঁজখবরও নেননি তারা।
তিনি আরও বলেন, এই নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । সেই থেকেই সালিশ কমিটির জরুরি বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জৈন্তার ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটি বিভিন্ন ইস্যুতে গত কয়েক দশক ধরে ভূমিকা পালন করে আসছে। যদি পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ১৭ পরগণার মুরব্বিদের সঙ্গে এই বিষয়ে সমন্বয় করেন তবে মুরব্বিরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আজ আমরা যারা জনপ্রতিনিধি রয়েছি তারা বিষয়টি আজ সভায় উপস্থাপন করবো।
এদিকে, সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল হক জানিয়েছেন, হঠাৎ কেউ ঘোষণা দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ্ রাখতে পারে না। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন।