• শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন

তুরস্ক থেকে সাবেক কমান্ডারদের দেশে আনলেন জেলেনস্কি, চুক্তি ভঙ্গ বলছে রাশিয়া

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩

শনিবার শস্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে তুরস্কে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ ছাড়া শনিবার ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ৫০০তম দিন। এই দিনেই তুরস্কে বন্দী থাকা ইউক্রেনের সাবেক পাচ কমান্ডারকে দেশে ফিরিয়ে আনলেন জেলেনস্কি।

মূলত ইউক্রেনের মারিউপোল সেনাশিবিরে (গ্যারিসন) কর্মরত ছিলেন সাবেক এ কমান্ডাররা। গত বছর রাশিয়ার দখল করা সবচেয়ে বড় শহর আজভস্টাল স্টিল প্ল্যান্ট থেকে প্রতিরক্ষার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এই পাঁচজন কমান্ডার। আত্মসমর্পণের পর বন্দী হিসেবে তাঁদের তুরস্কে পাঠানো হয়েছিল।

তবে ইউক্রেনের সাবেক পাঁচ কমান্ডারের মুক্তির নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনা গত বছর হওয়া বন্দীবিনিময় চুক্তির লঙ্ঘন। এ ছাড়া এই বন্দী মুক্তির বিষয়ে মস্কোকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে দেশটি।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, বন্দী বিনিময় চুক্তির অধীনে তাদেরকে তুরস্কে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো আঙ্কারা।

শনিবার টেলিগ্রামে এক মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করেন জেলেনস্কি, যেখানে দেখা যায় কমান্ডাররা একসাথে বিমানে ওঠার আগে একে অপরের সাথে হাত মেলাচ্ছেন এবং জেলেনস্কি হাস্যোজ্জ্বল কমান্ডারদের সাথে আলিঙ্গন করছেন।

সে সময় টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেন, “আমরা তুরস্ক থেকে দেশে ফিরছি এবং আমাদের নায়কদের দেশে নিয়ে আসছি।”

তিনি আরও বলেন, সাবেক এই পাঁচ কমান্ডাররা হলেন, ইউক্রেনীয় সৈন্য ডেনিস প্রোকোপেনকো, স্ব্যাটোস্লাভ পালামার, সের্হি ভলিনস্কি, ওলেহ খোমেনকো এবং ডেনিস শ্লেহা। তারা অবশেষে তাদের আত্মীয়দের সাথে থাকবে।”

গত বছর ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর পর মারিউপোলের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় থেকে তিন মাসের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই কমান্ডাররা। রাশিয়া মারিউপোল দখলের কাছাকাছি পৌঁছালে কারখানার নিচের টানেল ও বাংকারে আটকা পড়েন এই কমান্ডাররা। শেষ পর্যন্ত গত বছরের মে মাসে তাঁদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় কিয়েভ।

এদিকে আঙ্কারার মধ্যস্থতায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের কিছু বন্দী বিনিময় করে মস্কো। তবে চুক্তিতে শর্ত ছিল, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনীয় এসব কমান্ডারকে তুরস্কেই থাকতে হবে।

তবে জেলেনস্কি কেন কমান্ডারদের এখন দেশে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন তার কোনো ব্যাখ্যা দেননি এবং তুরস্ক থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি এ বিষয়ে। এদিকে অনেক ইউক্রেনীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটিকে স্বাগত জানিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ