• শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাজ্যে সফরে বাইডেন

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় রোববার ব্রিটেনে পা রাখেন তিনি। এই সফরে তিনি ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে। লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে আসন্ন ন্যাটো সম্মেলনের আগেই যুক্তরাজ্যে সফরে গেলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এই সফর শেষে তিনি ন্যাটোর নতুন সদস্য দেশ ফিনল্যান্ডে যাবেন। খবর এএফপির।

এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাইডেনকে বহনকারী বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় লন্ডনের উত্তরে স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

সোমবার তিনি উইন্ডসর ক্যাসেলে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রাজ্যাভিষেকের পর প্রথমবারের মতো চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে বাইডেনের। রাজ্যাভিষেকে বাইডেন উপস্থিত ছিলেন না। তবে মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে বাইডেন বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়। তারা পরিবেশের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেনে বলে হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

মূলত আসন্ন ন্যাটো সম্মেলনকে মাথায় রেখেই ইউরোপে সফর করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে উৎখাত করতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার বিষয়ে আলোচনা করবে।

সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে পশ্চিমা দেশগুলোকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। তবে রোববার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমনটা হবে না। তিনি বলেন, ইউক্রেনকে এখন ন্যাটোতে অন্তর্ভূক্ত করা মানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর যুদ্ধ শুরু হওয়া।

বাইডেন বলেন, অনুচ্ছেদ ৫-এর অধীনে আক্রমণের শিকার যে কোনও সদস্য দেশকে রক্ষা করতে ন্যাটো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, যাই হোক না কেন এটি একটি প্রতিশ্রুতি যা আমরা সবাই মিলে তৈরি করেছি। যদি যুদ্ধ চলমান থাকে তার অর্থ আমরা সবাই যুদ্ধে আছি। এখন ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়া মানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ করা।

এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানের দাবিকে সমর্থন করে আঙ্কারা। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান করতে শান্তি প্রচেষ্টায় ফিরে যাওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। ৫০০ দিনের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সংঘাত চলছে। যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ জনই শিশু। রাশিয়ার হামলায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ