আধুনিক জীবনযাত্রা, খাওয়া-দাওয়ায় বেজায় অনিয়ম, সময়ের অভাবে শারীরিক কসরত না করা— এইসব কারণে যে অসুখ সহজেই শরীরে বাসা বাঁধে, তার মধ্যে অন্যতম লিভারের অসুখ। অল্প বয়েসেও এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। সহজে এই অসুখের লক্ষণ বোঝার উপায়ও নেই।
লিভার সুস্থ রাখতে তেল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলা, প্রচুর মাত্রায় পানি খাওয়া, ঘন ঘন বেদনানাশক ওষুধ না খাওয়া আর মদ্যপান ও ধূমপান এড়িয়ে চলার কথা বার বারই চিকিৎসকেরা বলে থাকেন।
লিভারে কোনো সমস্য হলে শরীরে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। সে কারণে এই অঙ্গটিকে সুস্থ রাখা ভীষণ জরুরি। বেশ কিছু খাবার আছে, যেগুলো খেলে লিভার সুস্থ থাকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এমন কিছু পরিচিত ও সহজলভ্য খাবারের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
হলুদ: লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে হলুদ। সে কারণে রান্নায় হলুদ ব্যবহারের পাশাপাশি, কাঁচা হলুদও নিয়মিত খেতে হবে। রোজের খাদ্যতালিকায় দুধ-হলুদও রাখতে পারেন। সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ আর মধু খেলেও উপকার পাবেন।
রসুন: লিভার পরিষ্কার রাখতে রসুন ভাল কাজ করে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি রসুন দিয়ে রান্না করা খাবার খান। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাসও শুরু করতে পারেন।
আঙুর: আঙুরও লিভারকে টক্সিনমুক্ত করতে কামাল দেখায়। আঙুরে থাকে ভিটামিন সি, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও বেশ উপকারী।
পাতিলেবু: প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে আস্ত একটি পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খান। কেবল ওজন কমাতেই নয়, লিভার সুস্থ রাখতেও এই অভ্যাস দারুণ কাজে আসে।
গ্রিন টি: লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে গ্রিন টি। লিভারে দূষিত পদার্থ জমা হওয়ায় স্থূলতা রোগ দেখা যায়। গ্রিন টি সেই দূষিত পদার্থ দূর করে। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে দুধ চা কিংবা কফি না খেয়ে গ্রিন টিতে চুমুক দিতে পারেন।
আপেল: আপেলও লিভার সুস্থ রাখে। তাই প্রতিদিনের টিফিনে কয়েক টুকররা আপেল রেখে নিতে পারেন। খিদেও মিটবে আর লিভারও চাঙ্গা থাকবে।
ব্রকোলি: লিভারকে পরিষ্কার রাখতে ব্রকোলিও ভীষণ উপকারী। এই সবজি নিজস্ব কোনো স্বাদ নেই বলে অনেকেই এই সবজি খেতে চান না। কিন্তু স্যালাড হিসাবে বা সবজিতে দিয়ে ব্রকোলি খেতে পারলে খুব উপকার পাবেন।