মাদারীপুরের শিবচরে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ ঝর্ণা বেগম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৮)। হত্যাকারী নিহতের স্বামী খোকন শেখ (৪৫)। স্ত্রীকে হত্যা করে স্ত্রীর কান থেকে দুল খুলে নিয়ে পালিয়ে যায় পাষন্ড স্বামী খোকন শেখ। মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব। এদিন পাবনা জেলার কাচারীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, প্রায় চার বছর আগে জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরের চর ইউনিয়নের সাড়ে বিশ রশি গ্রামের ঝর্ণা বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয় নড়াইল জেলার খোকন শেখের সাথে। বিয়ের পর স্বামী খোকন বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে বাবার বাড়ি শিবচরের সাড়ে বিশ রশি গ্রামেই বসবাস করছিলেন ঝর্ণা। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বনিবনা হচ্ছিলো না ঝর্নার। প্রায়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ও মারামারির ঘটনা ঘটতো। গত ৪ জুলাই মঙ্গলবার ঝর্ণা বেগম নিখোঁজ হন। এরপর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। গত শুক্রবার বাড়ির পাশের বাঁশ বাগান থেকে দূর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা ঝর্ণা বেগমের অর্ধ গলিত মরদেহ দেখতে পায়। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ওইদিন শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ঝর্ণা বেগমের বোন শাহিদা বেগম। ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় স্বামী খোকন শেখ। বিষয়টি র্যাবের নজরে আসলে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে তারা। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে পাবনা জেলার কাচারীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহতের স্বামী আসামী খোকন শেখকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৮ ও র্যাব-১২ এর একটি যৌথ দল।
এ বিষয়ে মাদারীপুর ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও কোম্পানি কমান্ডার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকেই আসামী খোকন শেখ পলাতক ছিলেন। বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে অভিযান পরিচালনা করে আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন পারিবারিক কলহের জেরে নিজ স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করেছেন। হত্যাকান্ডের শেষে স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের কানের দুল ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে সে পালিয়ে যায়।