• শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

পঞ্চায়েত নির্বাচনে হতাহতের বিষয়ে যা বললেন মমতা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) ভোট গণনা শেষ হয়। রাজ্যজুড়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার নিশ্চিত হয়েছে। এবারো গ্ৰাম বাংলার দখল থাকছে ঘাসফুলের হাতেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের শেষে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় নবান্ন থেকে সংবাদ সম্মেলন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও পরিবারের সদস্যদের একজনকে পুলিশের হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

নবান্ন থেকে মমতা বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সহিংতায় ১৯ জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে ১০ জনই আমার দলের। এই ১৯ জনের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। আর নিহতদের পরিবারের সদস্যদের একজনকে পুলিশের হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, অনেকেই আমাদের বিরোধিতা করেও সাহায্য করেছেন, সমালোচনা করে আমাদের আত্মনির্ভরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। যতদিন বিরোধী দলে ছিলাম শুধু মার খেয়েছি আর লাঞ্ছনা সহ্য করেছি।

এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে মমতা বলেন, ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার আসার পর থেকে তাদের উগ্ৰ বিদ্বেষমূলক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। সৌজন্যতা মলিন করে দিয়েছে তারা। কথায় ভদ্রতা নেই। শুধু মিথ্যা আর কুৎসা ছড়িয়েছে। ত্রিপুরায় ৯৩ শতাংশ আসনে ভোট করতে দেওয়া হয়নি। যতবার আমাদের টিম গিয়েছে, হামলা করা হয়েছে। আসামে আমাদের টিম গিয়েছে সেখানেও হামলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি সর্ব ধর্ম, সর্ব বর্ণ, দরিদ্র সমাজের মানুষের শান্তি ও সম্প্রীতির প্রতিনিধিত্ব করি। যারা গণতন্ত্র হত্যা করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। আমরা করি না। আমি এতদিন পর মুখ খুলছি। কিন্তু সহ্যের একটা সীমা আছে। লেবু কচলাতে কচলাতে তেতো হয়ে যায়। আমি গিনিপিগ নই। আপনারা আমাকে গিনিপিগ করে ফেলতে পারেন না।

তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেন, আমি দুঃখিত কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনায় কয়েকজন মারা গিয়েছেন। যে জায়গাগুলোতে এসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো আজ থেকে নয় গত ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরেই সেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। ৭১ হাজার বুথে ভোট হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বড়জোর সাতটি বুথে। বিক্ষিপ্ত এই ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে। যারা ব্যালটে জল ঢেলে দিয়েছে তারা কেন গ্রেফতার হবে না? কেন জেলে যাবে না।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি দুঃখিত রাম, বাম, শ্যাম এরা তিনজন প্লাস আরও একজন জোট বেঁধে মহাঘোঁট বেঁধেছিল। এদের সব প্ল্যানিং ছিল গণ্ডগোলের। আদালত আমাদের যা নির্দেশ দিয়েছে সব মেনেছি।

তিনি বলেন, আজও জাগো বাংলায় আমার একটা কবিতা প্রকাশ হয়েছে ‘শান্তি’। কবিতা বিতান বইতেও দেখবেন বেশির ভাগ সময়ে আমি শান্তি-সংহতি নিয়ে কলম ধরেছি। পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়ে গেছে, আমরা যদি সত্যি কোনো অপরাধ করে থাকি যে শাস্তি মানুষ আমাকে দেবে মাথা পেতে নেব। দাম্ভিকতা কোনো রাজনৈতিক দলের ওদ্ধত্য হতে পারে না। মানুষের আশীর্বাদ, শুভেচ্ছা, দোয়া পেলে আরো নম্র হতে হয়।

তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজনীতি হিংসা বা খুনের মতো ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। তিনি বলেন, পুলিশকে ফ্রি হ্যান্ড দিচ্ছি। যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ