নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিজিবির ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। বিজিবি নীলফামারী-৫৬ ব্যাটালিয়নের নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম মামলাটি করেন। এ ঘটনায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডিমলা থানার ওসি লাইছুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় যাদের নাম উলেখ করা হয়েছে- টেপা খড়িবাড়ি ইউনিয়নের সদস্য পদপ্রার্থী ফেরদৌস মিয়া (৪০), আব্দুল বারেক (৩৫), মোহাম্মদ তারেক (৩২), শফিয়ার রহমান (৬০), রহিদুল ইসলাম (৫৫), আব্দুল করিম (৪৮), তাসিন ইসলাম (২৩), রবিউল ইসলাম (৩০), কামিনুর রহমান (৩৪), ফজল মিয়া রানা (৩৫), নাছিমা বেগম (২৮), রুবিনা বেগম (৪০), পারভিন বেগম (৩৫), আব্দুল করিম (৪৮), আবু হানিফ (৪২), মাসুদুল ইসলাম (৩০), ফরহাদ আলী (৩৫), হাবিবুর রহমান হাবু (৩০), আনিসুর রহমান (৩৩) আবু জাহিদ (৩৮) ও মোহাম্মদ হাবিব (৩০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টেপাখড়িবাড়ি পন্ডিতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফলে অসন্তোষ হয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও সাধারণ সদস্য প্রার্থী ফেরদৌস মিয়ার সমর্থকরা বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালান ও গাড়ি ভাঙচুর করেন।
নীলফামারী-৫৬ ব্যাটালিয়নের নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম জানান, ভোটে হেরে সদস্য পদপ্রার্থী ফেরদৌস মিয়া ও তার সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে পুলিশ ও বিজিবির ওপর হামলা করেন।
এ বিষয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইছুর রহমান বলেন, বিজিবির করা মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।