• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

একই সাবান পরিবারের সব সদস্যর ব্যবহার কি স্বাস্থ্যকর ?

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩

প্রত্যেকের বাড়িতে সব সদস্যরা দাঁত মাজার জন্য আলাদা ব্রাশ ব্যবহার করেন। আবার অনেকের বাড়িতে সবার গোসলের তোয়ালে, চিরুনিও আলাদা। অথচ,গোসলের জন্য রাখা সাবানটি এক। বাথরুমে ঢুকে প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে পরিবারের সবাই ওই একটিই সাবান ব্যবহার করেন। এমনকী বাইরে থেকে ঘুরে এসে বা ধুলোবালি, নোংরা মাখা হাতে যে সাবান ধরছেন, সেই একই সাবান আবার গোসলেও ব্যবহার করছেন। এমন অভ্যাস কী আদৌ স্বাস্থ্যকর?

ভারতীয় গণমাধ্যম ‘আনন্দবাজারে’র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালে ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ডেন্টাল রিসার্চ’-এর গবেষণায় বলা হয়েছিল, সাবানের উপরের স্তরে কম পক্ষে পাঁচ রকম ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকতে পারে। ওই একই বিষয়ে ২০১৫ সালে আবার একটি সমীক্ষা চালায় ‘আমেরিকান জার্নাল অফ ইনফেকশন কন্ট্রোল’। তারা জানায় একটি হাসপাতালে ব্যবহৃত প্রায় ৬২ শতাংশ বার সাবানে নানা ধরনের রোগজীবাণু রয়েছে। এই সংক্রামিত সাবান ব্যবহার করলে সেখান থেকে ব্যাক্টেরিয়াগুলি মানবদেহে ছড়িয়ে পড়তেই পারে বলেও ইঙ্গিত দেয় তারা।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল রোগ, জীবাণু বা ব্যাক্টেরিয়ায় পরিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও রোগ ছড়ানোর বিষয়ে সাবান যে নিরাপদ, তা গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। গবেষকরা জানান,বার সাবানের উপর জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও সেখান থেকে কোনও রকম শারীরিক জটিলতা হওয়ার বিষয় তাদের নজরে আসেনি। যদিও পরবর্তী কালে ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটতে পারে বলে মত দেন গবেষকরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোন ধরনের সমস্যা এড়াতে তরল সবান ব্যবহার করা প্রয়োজন। এমনকি তরল সাবান যে বোতলটিতে থাকে, সেই ‘ডিসপেন্সার’-এ বার বার হাত না দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। সম্ভব হলে তেমন ‘ডিসপেন্সার’ ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি ব্যবহার করা ভেজা বার সাবান রাখার জায়গায় যেন পানি না জমে, তেমন ব্যবস্থা করারও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আর যদি একই সাবান বার পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার করতে চান তাহলে আপনার শরীরে ব্যবহার করার আগে সাবান বারটি প্রথমে ধুয়ে ফেলা আদর্শ। সাবান ব্যবহার করার সময় ভালোভাবে ঘষুন । একবার ধুয়ে সাবান বার শুকিয়ে ফেলুন। তা না হলে ভেজা সাবান থেকে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কোনো ধরনের সাবান ব্যবহার না করার পরিবর্তে একটি সাবান শেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ সাবান বিভিন্ন ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করতে উপকারী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ