• শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া দিলো সীমান্তে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রতিদিন ২৫ লাখ ডিম উৎপাদনের লক্ষ্য প্রাণের স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে খালেদা জিয়ার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনতে বন্ধ রাখা হয় ইত্যাদির শুটিং বঙ্গোপসাগরে দুইদিনে ধরাপরলো ১৯৫ মণ ইলিশ‌‌ যারা মাইনাস-টুর কথা বলে এটা তাদের মনগড়া: খসরু গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছয়জনের মরদেহ পড়ে আছে ঢামেকের মর্গে গা‌ড়ির সি‌লিন্ডা‌র বি‌ষ্ফোর‌ণের আগু‌নে চারজ‌নের মৃত‌্যু নাসরিন আক্তার পরিচয় দেওয়ায় নিপুণ আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ তামিম প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের দিকে তেড়ে যাওয়ায় শাস্তি পাচ্ছেন

জায়েদ খানের ক্রাশ ছিলেন শাবনূর

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩

যার কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রায়ই নেটপাড়ায় চলে তুমুল ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সামান্য কথাও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও এসব আলোচনা-সমালোচনা একদম গায়ে মাখেন না তিনি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় উঠে আসা চিত্রনায়ক জায়েদ খান এবার জানিয়েছেন, ‘একসময় তার ক্রাশ ছিলেন বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর।’

জায়েদ বলেন, ‘তিনি শাবনূরের উপর এতই ক্রাশ খেয়েছিলেন তার ছবি বাসায় টাঙিয়ে রাখতেন। শাবনূরের সঙ্গে তিনটি সিনেমাও করেছেন এই অভিনেতা। শাবনূরকে তিনি অনেক পছন্দ করতেন। শাবনূরের সঙ্গে প্রথম শুটিংয়ে এতটাই ভয় পেয়েছিলেন যে ১৭ বার বাথরুমে যেতে হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র আয়োজনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান। বাংলা চলচ্চিত্র ও সিনেমা হলের দুর্দশার কথা উল্লোখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো মতে ঠেলাঠেলি করে এতটুকু এসেছি। আমাদের সিনেমা হল ভর্তি তেলাপোকা। আমরা কি কোনো সিনেমা হলে গিয়ে দেখতে পারি। সেই পরিবেশ কি আছে। তারপরও মানুষকে পুরস্কার দেওয়া উচিত যে তারা এইসবের মধ্যেও সিনেমা হলে এসে সিনেমা দেখে।’
জায়েদ আরও বলেন, ‘বসুন্ধরা ও যমুনাতে দু-চারটি ভাল সিনেমা হল রয়েছে। কিন্তু বাকি সব সিনেমা হলে বিশেষ করে মফস্বলের সিনেমা হলগুলোতে দেখা যায় টিনের চালের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ছে। বসার আসনে তেলাপোকা ভর্তি, মানুষ কিভাবে সিনেমা দেখবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মধ্যবিত্তরা সিনেমা হলে ঢুকবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত সিনেমার চাহিদা থাকবে না। এই যে ঈদের সময় এত চাহিদা দেখছেন, শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা এসেছে বলে। তখন সিনেমা হলে এত জোয়ার, বিদেশের মাটিতে ছবি ভালো চলছে। কিন্তু মফস্বলে ভালো সিনেমা হল নেই।’

সিনেমা হলের মালিকরা ২ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে আগ্রহী না। তারা চায় সরকারি খরচে এই হলগুলো সংস্কার করা হোক। এমন অনেক সত্য কথা বলতে গিয়ে অনেকের শত্রুতার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও তিনি জানান। জয়েদ বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে বহু প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। প্রবাসীদের মধ্যে যারা সিনেমাপ্রেমী রয়েছেন তাদের নিয়ে প্রবাসের মাটিতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়। দুবাইতে এর আগেও চলচ্চিত্র শিল্পীদের নিয়ে অনেক প্রোগ্রামের আয়োজন হয়েছে। আগে শিল্পী সমিতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, যার কারণে আসতে পারিনি। এখন অনুষ্ঠানের আয়োজন করুন, যে কোনো উপলক্ষ্য নিয়ে। প্রবাসীদের মাঝে বাংলার সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এটি একটি ভালো উদ্যোগ হতে পারে।’

বাংলাদেশিদের মাঝে প্রচার প্রচারণা বাড়ানোর অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের বাংলাদেশিদের মাঝে বাংলা সিনেমা ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। বাংলাদেশ বিমানে এই মুহূর্তে এটা শুরু হয়েছে। এই প্রবাসে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ যারা রয়েছেন, সবাই মিলে যদি উদ্যোগ নেয়- ঈদের সিনেমাগুলো ফেস্টিভ্যালের মত করে দেখানো যায়। তাহলে অন্তত বাংলা সিনেমার প্রসার হবে।’ বাংলা সিনেমার বিকাশে চলচ্চিত্র শিল্পীদের সাথে নিয়ে যে কোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানান এই অভিনেতা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ