• শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয় পানি বৃহস্পতিবার থেকে সাগরে ছাড়বে জাপান

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩
২০১১ সালের ভূমিকম্পে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩টি চুল্লি প্লাবিত হয়

সুনামিতে বিধ্বস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বর্জ্য পানি আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সমুদ্রে ছাড়তে শুরু করবে জাপান। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও টোকিও বর্জ্য পানি সমুদ্রে ছাড়বে।

প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, প্ল্যান্টটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ হল সাইটে সঞ্চিত ১০ লক্ষ টনেরও বেশি জল নিষ্পত্তি করা। কিন্তু কিশিদার ঘোষিত এই পরিকল্পনা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে কারণ পানিতে ট্রিটিয়াম রয়েছে।

পরিশোধনের পর তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়ে অনেকদিন ধরেই কাজ করছে জাপান। ২০১৯ সালে দেশটির পরিবেশমন্ত্রী ঘোষণা দেন, বর্জ্য উপকরণ সংরক্ষণের জন্য আর জায়গা না থাকায় তাদের হাতে ‘কোনো বিকল্প নেই।’
জাতিসংঘ অনুমোদন দিলেও আশ্বস্ত হয়নি প্রতিবেশী দেশগুলো এবং স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়, যারা ২০১১ সালের পারমাণবিক বিপর্যয়ের প্রভাব এখনো অনুভব করেন।

কেউ কেউ আইএইএর পর্যালোচনার প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেছে। চীন সম্প্রতি জানায়, আইএইএর নিরীক্ষা ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিকে আইনি বৈধতা দেয় না।

যুক্তরাষ্ট্র জাপানকে সমর্থন জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাপান তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্বচ্ছতা দেখিয়েছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পারমাণবিক নিরাপত্তা মানদণ্ড মেনেই এই উদ্যোগ নিয়েছে।

তাইওয়ানও জানিয়েছে, যে পরিমাণ ট্রিটিয়াম পানিতে ছাড়া হবে, তা খুবই সামান্য এবং এতে তাইওয়ানের ওপর ন্যুনতম প্রভাব পড়বে। স্বশাসিত দ্বীপটি জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, তেজস্ক্রিয় এই পানি ছেড়ে দিলে ফুকুশিমার আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পারমাণবিক বিপর্যয়ের পর থেকে ফুকুশিমার জেলেরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সর্বশেষ এই উদ্যোগে তাদের ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলে ভাবছেন তাদের অনেকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ