ইমরান খানের পর তার নিয়োজিত প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি কী কোনো বিপদে পড়তে চলেছেন! রাজনীতির এক ঘোলাজলে পড়েছেন তিনি। যেদিকে যাচ্ছেন, সেদিকেই বিপদ। বিতর্ক। তিনি পবিত্র হজ পালন করতে যাওয়ার সময়েই পার্লামেন্টারিয়ানদের অযোগ্য ঘোষণার সর্বোচ্চ মেয়াদ ৫ বছর করে একটি বিলে স্বাক্ষর করেন ওই সময়ে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট। বিলটি তড়িঘড়ি করে পাস করানোর পেছনে কারণ ছিল। উদ্দেশ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে দেশে ফেরানো। এটা সবাই জেনেও কিছু করতে পারেনি। সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট জানেন না, অথচ এমন দুটি বিলে তার স্বাক্ষর হয়ে গেছে। তা আইনে পরিণত হয়েছে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি নিজের সেক্রেটারি ওয়াকার আহমেদকে সরিয়ে দেন।
তার ক্ষেত্রে হুমায়রা আহমেদ নামে একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেন। কিন্তু প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন হুমায়রা। স্বেচ্ছায় নাকি তাকে চাপ দিয়ে কাজে যোগ দেয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
সোমবার প্রেসিডেন্ট আলভি প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে অনুরোধ করেন ওয়াকার আহমেদকে তার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হিসেবে প্রত্যাহার করে নিতে এবং তার স্থানে গ্রেড-২২ ডিএমজি অফিসার হুমায়রা আহমেদকে নিয়োগ দিতে। বর্তমানে জাতীয় প্রত্নতাত্তিক ও সাংস্কৃতিক বিভাগে ফেডারেল সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করছেন হুমায়রা। কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্টের সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে বলা হচ্ছে।
অফিসিয়াল সিক্রেটস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩ এবং পাকিস্তান আর্মি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩ নামের দুটি বিলে প্রেসিডেন্ট আলভি স্বাক্ষর করেননি বলে জানান। অথচ ওই বিলে তার স্বাক্ষর হয়ে চলে গেছে। কীভাবে তা হয়েছে কেউ বলতে পারছেন না। তবে কি প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে! নকল করে এই বিলে তার স্বাক্ষর দেয়া হয়েছে। যদি হয়ে থাকে, তাহলে সেই কাজ কে করেছে! এ ফাইল তো সর্বসাধারণের নাগালের বাইরে থাকার কথা। তবে কি ওয়াকার আহমেদ এর সঙ্গে জড়িত। প্রেসিডেন্ট ওয়াকারকে সরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছেন। এতেই ধরে নেয়া যায় যে, এ ঘটনার সঙ্গে ওয়াকার জড়িত থাকতে পারেন।