শিল্পী হয়ে ওঠার উৎসাহ কোথা থেকে পেয়েছেন?
ছোটবেলা থেকে শিল্পী হওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না। বাবাকে গান করতে দেখতাম। মূলত গানের সঙ্গেই আমার বেড়ে ওঠা। গানের ক্ষেত্রে আমি কখনও কারও কাছে উৎসাহ পাইনি। যেটুকু এসেছি বা করেছি সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায়। কারণ পরিবার থেকে আমার শিল্পী হওয়া নিয়ে কোনোরকম চাওয়া ছিল না। পরিবার চাই তো আমি পড়াশোনা করি। আমার জীবনের লক্ষ্য ছিল পাইলট হব। তাদের বিষয়টি এমন ছিল তারা কখনও আমাকে কোনোরকম বাউন্ডারি দিয়ে দেননি। সবসময় একরকম স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন।
শেখার বিষয়টিও কি ছোটবেলা থেকেই ছিল?
ছোটবেলা থেকে মিউজিক আমি কারও কাছ থেকে শিখিনি। নিজে থেকেই সবটা শেখা। যখন ছোট ছিলাম, মিউজিক ইনস্ট্র–মেন্ট নিয়ে খেলতাম দিনের অনেকটা সময়। তখন থেকেই টেকনিক্যাল জিনিসগুলোর প্রতি আগ্রহ ছিল খুব বেশি।
তবে কি বলা যায়, গাইতে গাইতে গায়েন!
আমি বিশ্বাস করি মিউজিক বিষয়টি আমার কাছে ‘গড গিফটেড’। অনেকে অনেক চেষ্টা করে শিখতেও গান গাইতে পারে না, ভালো কিছুই হতে পারে না, সেখানে আমি পেরেছি।
প্রথম গানের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
প্রথম গানের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল সেটি আমার জন্য বলাটা খুব কঠিন। কারণ সত্যি বলতে কি আমি আসলে গায়ক নই। আমি মূলত গান কম্পোজিশন, স্টুডিও, রেকর্ডিং এসব নিয়েই থাকি। তা ছাড়া খুব ছোট থেকেই আমার এগুলোর সঙ্গে পথচলা। কাজেই আলাদা করে নিজের রেকর্ডিংয়ের কোনো এক্সপিরিয়েন্স নেই। কারণ সবসময় আমি সব কিছুতে এক্সপেরিমেন্ট করেই এসেছি।
অভিনয়েও দেখা গেছে আপনাকে। সেখানে নিয়মিত হবেন কি?
নিজেকে অভিনেতা হিসেবে কখনও মনে করি না। কয়েকটা কাজ ভালোলাগা থেকে করেছি। তাই অভিনয়ে নিয়মিত হতে চাই না।
অডিও নাকি মিউজিক ভিডিও, কোনটার প্রতি আগ্রহী আপনি?
এখন একটা ভালো গান হলে মানুষ সেভাবে শুনে না। এখন প্রচারের মাধ্যম হচ্ছে মিউজিক ভিডিও। তা ছাড়া আগে শিল্পীরা গান রিলিজ দিলে রাস্তাঘাটে শোনা যেত। এখন আর সেটি হয় না। মানুষ রেডিও শুনত। এখন পরিস্থিতি, মানসিকতা সবটাই পরিবর্তন হয়েছে। সময় নেই কারও। তাই প্রচার এবং চাহিদা দুটি বিষয় মাথায় নিয়েই মিউজিক ভিডিও করা।
চলচ্চিত্রের গানে অনিয়মিত কেন?
আমি যে ধরনের গান করি সে ধরনের গান আমাদের দেশের চলচ্চিত্রে হয় না। প্লে-ব্যাকে অনিয়মিত হওয়ার মূল কারণ এটি। তারপরও অনেক কাজ করা হয়েছে। কম করলেও প্লে-ব্যাকে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। যদিও সেরকম প্রস্তাব পাই এবং আমার নিজের সঙ্গে মিলে যায় তাহলে অবশ্যই কাজ করব।