• শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন

ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে পাট, হতাশায় কৃষক

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় পাট চাষ করে বিপাকে পড়েছে কৃষক। বিক্রয় মূল্যের চেয়ে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হওয়ায় পাট চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এদিকে শত শত বিঘা জমির পাট ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলার পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৪ হাজার ২শ হেক্টর জমি। আর উৎপাদন হয়েছে ৪ হাজার ৩শ ১৫ হেক্টর। এর মধ্যে দেশি পাট ৪ শ ৮০ হেক্টর, তোষা ৩ হাজার ৬ শ ৫৫ হেক্টর, কেলাফ বা কেলেন্ডার ১ শ ৬৫ হেক্টর এবং মেষতা ১৫ হেক্টর।

বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে ও পাট চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি মন পাট উৎপাদন করতে খরচ প্রায় ৩ হাজার টাকা। আর বাজারে পাটের বিক্রয় মূল্য দেড় থেকে ২ হাজার টাকা।

বামনহাটা গ্রামের পাট চাষি সামছুল হক খান জানান, এক মন পাটের দাম শ্রেণি ভেদে ১৫ শ থেকে ২ হাজার টাকা। শুধু মাত্র পাট কাটা, ধোয়া ও শুকানো খরচ পড়ে ১২ শ থেকে ১৫ শ টাকা। এছাড়া হাল-চাষ, নিড়ানি ও সার হিসাব করলে নীট ক্ষতি হয় প্রায় ১৫ শ টাকা।

গাবসারা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, খরচ না ওঠার কারণে শত শত বিঘা জমির পাট ক্ষেতেই মরতে শুরু করেছে। তাই আশেপাশের লোকজনকে বলতেছি আমার ক্ষেতের পাট কেটে নেয়ার জন্য। তবুও আমার ক্ষেত পরিষ্কার হোক।

গোবিন্দাসী হাটের পাট ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম বলেন, মোকামে পাটের দাম কম, তাই আমাদেরও কম দামে কিনতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, কৃষি বিভাগ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। বিক্রয়, দাম, চাহিদা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ