• শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

আবারও উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচর স্যাটেলাইট সাগরে বিধ্বস্ত

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩

সিউলের এক রেলওয়ে স্টেশনের টিভিতে আজ বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইট বহনকারী রকেট উৎক্ষেপণের ফাইল ফুটেজ দিয়ে পরিবেশিত খবর দেখছেন একজন। 

দ্বিতীয়বার চেষ্টা করেও মহাকাশে গুপ্তচর স্যাটেলাইট পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছে উত্তর কোরিয়া। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ভোরে দেশটির রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে একটি গুপ্তচর স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়।

কিম প্রশাসন জানায়, রকেট উৎক্ষেপণের প্রথম দুটি স্তর ঠিক ছিল। কিন্তু, তৃতীয় স্তরে পৌঁছে কারিগরি ত্রুটি থাকায় রকেটটি ভেঙে সাগরে পড়ে। বস্তুত এর আগেও একইভাবে তারা একটি রকেট মহাকাশে পাঠাতে চেষ্টা করেছিল। সেই রকেটটিও সমুদ্রে ভেঙে পড়েছিল।

রকেট উৎক্ষেপণ সফল না হলেও উত্তর কোরিয়ার এই চেষ্টা নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, উত্তর কোরিয়ার এই কাজ জাতিসংঘের সিদ্ধান্তবিরোধী। নিঃশর্তে উত্তর কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। উত্তর কোরিয়া অবশ্য এখনও পর্যন্ত এর কোনো জবাব দেয়নি। তবে, দেশটি জানিয়েছে, আগামী অক্টোবরে ফের স্যাটেলাইট পাঠানোর চেষ্টা করবে তারা।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, উত্তর কোরিয়া যে উপগ্রহটি পাঠানোর চেষ্টা করছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য। উত্তর কোরিয়া অবশ্য এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি। বরং, তারা দক্ষিণ কোরিয়াকে জানিয়েই আজ রকেট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করেছিল।

রকেট উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণের মধ্যেই জাপানে নিরাপত্তার অ্যালার্ম বেজে ওঠে। জাপান জানিয়েছে, রকেটটির ভাঙা অংশ পীত সাগর, পূর্ব চীন সমুদ্র ও প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে। মূলত জাপানের খুব কাছেই রকেটের ভাঙা অংশ পড়েছে।

উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, কেন দ্বিতীয়বারেও রকেটটি উৎক্ষেপণ সাফল হলো না তা তদন্ত করে দেখা হবে।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছে, বাইডেনের প্রশাসন গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই কাজ কোনোভাবেই সমর্থন করছে না যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, তারা উত্তর কোরিয়ার এই কাজ কোনোভাবেই সমর্থন করেন না। এটি জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের বিরোধী কাজ।

এদিকে, ঠিক তিন দিন আগে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সেনা মহড়া শুরু করেছে। এর জবাব দিতেই উত্তর কোরিয়া এ কাজের চেষ্টা করেছে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ