এশিয়ায় ২০২২ সালে ১৫ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ চরম দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে। করোনার কারণে অঞ্চলটিতে চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এডিবির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, করোনার কারণে ২০২২ সালে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে স্বাভাবিকের চয়ে ৬ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ চরম দারিদ্রসীমার নেচে চলে গেছে। আর করনোনা না হলেও অঞ্চলটিতে ওই বছর ৮ কোটি ৭২ লাখ মানুষ চরম গরিব থাকত।
এডিবির ২০২১ সালের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালে এশিয়ায় আগের অনুমানের তুলনায় অতিরিক্ত ৭ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৮ কোটি মানুষ চরম দ্রারিদ্রসীমার নিচে চলে যেতে পারে।
২০১৭ সালে তৎকালীন বাজার অনুযায়ী কোনো মানুষের দৈনিক আয় ২ দশমিক ১৫ ডলারের কম হওয়াকে চরম দারিদ্র্য বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।
এডিবি প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ায় দারিদ্র হ্রাসের ধারা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০৩০ সালের মধ্যে এই অঞ্চলের ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের দৈনিক আয় ৩ দশমিক ৬৫ থেকে ৬ দশমিক ৮৫ এর বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ আলবার্ট পার্ক জানান, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল করোনা মহামারী থেকে ক্রমাগতভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়তে থাকায় দারিদ্র্য দূরীকরণের উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।