ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের গৌরিনাথপুর নওদাগ্রামের মাঠ দিয়ে বয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ নদ খননের মাটি ফসলি জমিতে রাখা হয়েছে। এদিকে একদিকে যেমন মাটি রাখা ওইসব জমিতে চাষ করতে পারছেন না কৃষকরা অপর দিকে মাঠের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলবদ্ধতায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।
এ নিয়ে ভুক্তোভোগী কৃষকরা মানববন্ধন করেও কোনো সুফল পাচ্ছে না।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার গৌরিনাথ ও নওগ্রামের মাঠে নদ খননের মাটি কৃষকদের ফসলি জমিতে রাখা হয়েছে। যে কারণে ওই জমিতে দীর্ঘদিন যাবত মাটি পড়ে থাকায় জমির মালিকরা চাষ করতে পারছে না। এছাড়াও মাটি পড়ে নদের দুইপাশে উচু হয়ে যাওয়ায় মাঠের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে পানি জমে মাঠের সিম, বেগুন, পটল, কলা ও ধানের ক্ষতি হচ্ছে।
গৌরিনাথপুর গ্রামের কৃষক আবুল কালাম জানান, তার এক বিঘা জমির তিন ভাগে নদ খননের মাটি পড়ে আছে। বছরে তিনটা ফসল হওয়া জমিতে তিনি চাষ করতে পারছেন না।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ শাওন জানান, সরকারি নদের মাটি সরিয়ে নেয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। ওইসব মাটি নদের পাড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। একটু একটু করে ওই সব মাটি ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। যেহেতু এটা নদের মাটি সেহেতেু বাণিজ্যিকভাবে সরিয়ে নেয়া যাবে না।