• শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

এক পরিবারের শাসনেই ৫৬ বছর চলছে আফ্রিকান এ দেশটি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩
আলি বঙ্গ ও আলবার্ট ওন্ডো ওসা - ছবি : সংগৃহীত

এক পরিবারের শাসনেই চলছে ৫৬ বছর। আজ শনিবার সেখানে চলছে নতুন আরেকটি জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনে ৮ লাখ ৫০ হাজার নিবন্ধিত ভোটার সুযোগ পাবেন তাদের মতামত জানাতে।

আর নির্বাচনে প্রধান চরিত্র টানা দুই মেয়াদে থাকা প্রেসিডেন্ট আলি বঙ্গ। তিনি সাত বছর মেয়াদী প্রেসিডেন্সি ক্ষমতা আবারো পেতে লড়ছেন।

একটিমাত্র ব্যালট পেপারে ভোটারটা নির্বাচন করবেন একজন প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট সদস্যদের। অবশ্য এ নিয়ম এবারই করা হয়েছে।

গত এপ্রিলে যে সাংবিধানিক সংস্কার করা হয়েছে নতুন নির্বাচনী নিয়ম তারই একটি। এ সংস্কার কার্যক্রমের প্রধান বিষয় দু’টি হলো সকল রাজনৈতিক পদের মেয়াদ পাঁচ বছর করা আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় রাউন্ডের বিলুপ্তি।

বলা হচ্ছে মধ্য আফ্রিকার দেশ গ্যাবন সম্পর্কে। দেশটিতে প্রেসিডেন্টে মেয়াদের কোনো সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ নেই সংবিধানে। তাই নির্বাচনে যদি আলি বঙ্গ জয়ী হন তাহলে তিনি আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন এবং এবং মধ্য আফ্রিকান দেশটির উপর তার পরিবারের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে পারেবেন।

আলি বঙ্গ ক্ষমতাসীন দল গ্যাবনিস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিজি) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তারই বাবা ওমর বঙ্গ। ওমর বঙ্গ ১৯৬৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেশটি শক্তহাতে শাসন করেছেন। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলি বঙ্গ প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা পান এবং এখন পর্যন্ত তার শাসন অব্যাহত রয়েছে।

গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী ছিলেন ১৯ জন কিন্তু ১৮ আগস্ট ৬ জন প্রার্থী মিলে আলবার্ট ওন্ডো ওসাকে প্রার্থী হিসেবে রেখে বিরোধী কোয়ালিশনের ঘোষণা দেন। তারা মূলত আলি বঙ্গকেই চ্যালেঞ্জ করছেন।

ওমর বঙ্গের শাসনামলে ওসা ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি একজন অর্থনীতির প্রফেসর। ২০০৯ সালের নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

বিরোধী এ প্রার্থী আলজাজিরা বলেন, তিনি তার জয়ী হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, জনগণ ‍বুঝতে পারছে যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট দেশকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মেস মুইসির মতে, বিরোধী ছয়জনের একীভূত হওয়ার বিষয়টি বঙ্গ রাজবংশের অবসান ঘটাতে পর্যাপ্ত ভোট পেতে বিরোধীদের সেরা বাজি।

তিনি আলজাজিরাকে বলেন, ‘এটি সত্যিই সরকান ও রাষ্ট্রের প্রধান নেতার পরিবর্তনের উপায়।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ