অভিনয়শিল্পী সাজু খাদেম। নিজের প্রতিভাগুণে টিভি নাটকের একজন দক্ষ অভিনয়শিল্পী হিসেবে প্রমাণ করেছেন। এই ঈদুল আজহায় তার বেশ কিছু নাটক প্রচারিত হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমান ব্যস্ততাসহ নাটক ও সিনেমার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নুরুল করিম।
আপনার বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে বলুন-
ঈদের সময় ব্যস্ততা অনেক ছিলো। ঈদের পরে সেটা অনেকাংশেই কমে গেছে। ঈদের মতো বড় উত্সবগুলোর পর একটু রেস্ট নেওয়ার সময় পাই। সপ্তাহখানেক বিরতির পরই আবার কাজ শুরু করি। এখন ধারাবাহিক নাটকগুলোর কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। এরমধ্যে উল্লেখেযোগ্য হলো ‘ঝামেলা আনলিমিটেড’। এটি পরিচালনা করেছেন শামীম জামান। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটা নাটকের কাজ করছি।
ঈদুল আজহায় প্রচারিত নাটগুলো দেখেছেন?
সব নাটক দেখা সম্ভব হয় না। তবে সময় বের করে অনেক নাটকই দেখেছি।
নাটকগুলো নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাই-
আমাদের নাটকের মান সবসময়ই ভালো ছিলো। আমাদের দেশের নাটকের মতো ভালো নাটক আর কোথাও নির্মাণ হয় বলে আমার জানা নেই। আমাদের নাটক দর্শক দেখছে। হোক টিভি কিংবা অনলাইনে। তবে হ্যাঁ, আমাদের নাটক মানুষ আরো দেখতো। যদি আমরা আমাদের নাটকের সঠিক প্রচারটা করতে পারতাম। আমাদের যে প্রচার ব্যবস্থা সেটা নাটকের জন্য পুরোপুরিভাবে ইতিবাচক নয়।
দর্শকদের অভিযোগ আছে, এখনকার ধারাবহিক ও পর্ব নাটকগুলোর গল্প টেনে টেনে লম্বা করা হয়। এ প্রসঙ্গে আপনি কি বলবেন?
কথাটা পুরোপুরি সত্য নয়। একটি ধারাবাহিক নাটকের পুরো গল্পটাতো আর দর্শক জানেন না। দর্শক গল্পটা জানে না বলেই তার কাছে মনে হয় গল্পটা টেনে লম্বা করা হচ্ছে। তবে মাঝে মাঝে এমনটা হয়। বিভিন্ন সংকটের কারনে হয়ে থাকে।
এটা কি দর্শকদের সাথে প্রতারণা নয়?
না। সবকিছুতেই সংকট জিনিসটা থাকে। ধরুন একটি ধারাবাহিকে আমাকে নিয়ে যে চরিত্রটি লেখা হয়েছে সেটির শ্যুটিং-এর দিন আমার সিডিউল মিসিং। তখন সেটা আরেকজনকে দিয়ে করানো হয়। এর চাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে, আর্থিক সমস্যা। সবকিছুর নেপথ্যেই আর্থিক সমস্যাটা বিদ্যমান। আমাদের নাটকের জন্য পর্যাপ্ত বাজেটটুকু পাওয়া যায় না। যে কারনে একজন আর্টিস্টকে একটা ধারাবাহিক ধরে রাখতে পারে না। বাজেট বাড়ানো হলে আমাদের নাটকের সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
অতি বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি দর্শকরা এখন স্ক্রল বিজ্ঞাপনেও বিরক্ত, এ কারণে অনেকে টিভিতে নাটক দেখেন না। এ নিয়ে কী বলবেন?
বিজ্ঞাপনের জন্য আমি নিজেও বিরক্ত। বিজ্ঞাপনের একটা নীতিমালা হওয়া উচিত। এটা আবার এককভাবে সম্ভব নয়। এটা সমষ্টিগতভাবে করতে হবে। এটা আবার মাইকিং করে কাউকে বোঝানো যাবে না। এটা প্রয়োজনে আসবে। এখন কিন্তু অনেক চ্যানেল একটা সিস্টেমে আসছে। প্রয়োজনে পরিবর্তন আসবে। আপনি দেখেন ফুলটা ছিঁড়তে যেন না পারে তার জন্য কাঁটা আছে। প্রকৃতি নিজেই সব কিছু ক্রিয়েট করে দেয়।
আপনি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। সিনেমার প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু বলুন-
‘কমনজেন্ডার’ আমার উল্লেখযোগ্য সিনেমা। আমি সিনেমা বলতে ‘কমনজেন্ডার’ বুঝি। আমার মনে হয় ‘কমনজেন্ডার’ দেখে তাদের মধ্যে কাঁদেনি এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে আমি সিনেমার ব্যাপারে একদম ফেইক। বাংলা সিনেমা ডেভেলপ করুক সে জন্য আমি উন্মাদ হয়ে আছি। তবে অবশ্য মেইন স্ট্রিমের মধ্য দিয়ে পরিবর্তন আসতে হবে। আমরা যে স্টাইলের মাধ্যমে সিনেমার পরিবর্তন চাচ্ছি তা জীবনেও হবে না। মেইন স্ট্রিমের ছবি যদি পরিবর্তন হয় তবে অটোমেটিক্যালি পরিবর্তন হবে।