এবারের এশিয়া কাপ মিশনে হতাশা যেন বাংলাদেশের নিত্যসঙ্গী। গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোর মিলিয়ে ৪ ম্যাচের তিনটিতে পরাজয় মেনে ফাইনালের আগেই থেমে গেছে টাইগারদের পথচলা। এমন বাজে পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে হচ্ছে নানা সমালোচনা। এই কঠিন সময়ে সাকিব আল হাসানরা পাশে পেলেন টাইগার সাবেক কোচ শ্রীধরন শ্রীরামকে।
এবারের এশিয়া কাপে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় কাজ করছেন শ্রীরাম। গত শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে সাকিবদের সঙ্গে হঠাৎই দেখা হয়ে যায় তার। এরপর সাবেক শিষ্যদের সঙ্গে গল্পে মজে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর সেই ম্যাচ বাংলাদেশ ২১ রানে হেরে যায়। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই অনেকটা বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে সাকিবদের।
আগামী শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। কারণ এই ম্যাচ জিতলেও ফাইনালে ওঠার টিকিট পাওয়া নিশ্চিত নয় টাইগারদের। বাকি ৩ দলের ম্যাচের ফলের দিকেও চেয়ে থাকতে হবে সাকিব বাহিনীর।
এশিয়া কাপ শেষেই ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তারপর বিশ্বকাপে অংশ নিতে ভারতে উড়াল দেবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তার আগে এশিয়া কাপে এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কেমন হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এশিয়া কাপে পারফরম্যান্সে হতাশ হলেও বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো করবে বলে বিশ্বাস করেন শ্রীরাম। বিশেষ করে তরুণ ব্য্যটার তাওহীদ হৃদয়, নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর ভরসা রাখতে বলেছেন তিনি। দেশের প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন ভারতীয় এই কোচ।
শ্রীরাম বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা কিছুটা হতাশাজনক ফল (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার)। তরুণ ক্রিকেটাররা ভালো খেলছে৷ এটাই ভালো সময় তরুণ ক্রিকেটারদের সমর্থন করার। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক আশা রয়েছে। আশা করি তারা অবশ্যই টপ ফোর (সেমিফাইনাল) পর্যন্ত যেতে পারবে।’
গতবছর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন শ্রীরাম। তার অধীনে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ। সাকিবের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ তখন সুপার টুয়েলভে দুই ম্যাচ জিতেছে, যেখানে ১৫ বছর পর বিশ্বকাপে মূল পর্বে জয় পায় বাংলাদেশ।
তার আগে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচ হয়ে জিতেছিলেন ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২১-২২ অ্যাশেজ। কোচিংয়ের মতো ধারাভাষ্যকারের কাজটাও উপভোগ করছেন শ্রীরাম, ‘খুব ভালো উপভোগ করছি। সব সময়ই ক্রিকেটের সঙ্গে থাকাটা ভালো।’ কোনটা বেশি কঠিন, কোচিং না ধারাভাষ্য? হাসলেন শ্রীরাম, ‘কঠিন প্রশ্ন। হা হা।’