প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ শংকা প্রকাশ করেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, খালেদা জিয়া বিদেশে আছেন তাকে উক্তি করে বলেছিলেন দেখেন তিনি আসেন কিনা। আমাকে একজন প্রশ্ন করলেন, দেখেন তিনি থাকেন কিনা। এখন তিনি (প্রধানমন্ত্রী) গেলেন, তারিখ পরিবর্তন করেছেন,এখন আমার মনে হয়, দেখেন তিনি আসেন কিনা।’
অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ মিশনের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপির সুইডেন শাখা।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, সহায়ক সরকার নিয়ে গবেষণার দরকার হয়? একটি দলীয় সরকার না থাকলে কীভাবে হয়- তা জনগণ জানে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাই জানে। এ নিয়ে গবেষণার দরকার নেই, দেয়ারও দরকার নাই বলে আমি মনে করি।
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি মাঠ থেকেই সৃষ্টি। বিশেষ করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মাঠ থেকেই সৃষ্টি। অতএব, দলের নেতৃত্বের ঘাটতি নাই। আমি বলব, আন্দোলন ও সংগ্রামের বিকল্প নাই। আমাদের একটাই কাজ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানো।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির মতো একটা নির্বাচন করারও শক্তি সরকার ও শেখ হাসিনার নেই। এক কথায় বলা যায়, আগামী নির্বাচন অনিশ্চিত। আমরা ক্ষমতায় যাই বা না যাই- এ সরকারের আয়ু বেশি দিন নেই।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, একেকবার একেক নিয়মে সরকার পরিবর্তন হয়। অপ্রত্যাশিতভাবে সরকার পরিবর্তন হলে জনগণ সন্তুষ্ট হয় না। এ পরিবর্তন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, এই সরকার অতিমাত্রায় দুর্বল। দুর্বল বলেই তাদের হাঁকডাক বেশি। সবলরা কথা বলে কম। দুর্বলরা চিৎকার ও হুমকি দেয়। এ সরকারের মতো দুর্বল সরকার পৃথিবীতে আর নেই।
প্রধানমন্ত্রী ধরা খেয়েছেন মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে বেশি চালাকি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন। তিনি ধরা খেয়েছেন এতে কিছু যায়-আসে না,বাংলাদেশকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিয়েছেন। আজ পরাশক্তি দেশগুলো বাংলাদেশের বিপক্ষে। তাদের পরস্পরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব থাকলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা কেউ আমাদের পক্ষে নেই।
রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিতেই হবে। এ মানবিক কারণ যদি কারও নোবেলের ব্যাপার হয়- তা অত্যন্ত দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
সুইডেন বিএনপির উপদেষ্টা মিজান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।