• সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ অপরাহ্ন

জাইকার স্বেচ্ছাসেবী আসার মাধ্যমে ফের চালু হলো জেওসিভি প্রোগ্রাম

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশে এ বছরের সেপ্টেম্বরে জাপান ওভারসিজ কো-অপারেশন ভলান্টিয়ার (জেওসিভি) প্রোগ্রাম আবার চালু করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে শুরু হওয়া জাপানের অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্সের (ওডিএ) ৫০ বছর পূর্তির স্মরণীয় মুহূর্তে সাত বছর পর একজন ফিজিক্যাল থেরাপি স্বেচ্ছাসেবীর আগমনের মধ্য দিয়ে এই প্রোগ্রামটি আবার চালু হয়।

জেওসিভি জাপানের অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্সের (ওডিএ) অংশ হিসেবে পরিচালিত একটি বহুল স্বীকৃত সহযোগিতা প্রকল্প, যার বাস্তবায়নে রয়েছে জাইকা। এই প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে জাপানের নাগরিকরা অংশীদার দেশগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন এবং দেশটির সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগান।

জাইকা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশে ১৯৭৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ২৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবক পাঠিয়েছে তারা। যারা গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), কারিগরি প্রশিক্ষণ, কঠিন (সলিড) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ক্রীড়ার মতো খাতগুলোতে ধারাবাহিকভাবে নানান কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ২০১৬ সালে হলি আর্টিজানের দুঃখজনক ঘটনার পর প্রোগ্রামটি স্থগিত করা হয়। তাই, বাংলাদেশে আবার জেওসিভি প্রোগ্রাম চালু করা জাইকার জন্য অত্যন্ত আনন্দের।

এ বিষয়ে ফিজিক্যাল থেরাপি স্বেচ্ছাসেবক তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, জেওসিভি প্রোগ্রাম নতুন করে চালু হওয়ার পর জাইকার প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। হাসপাতালে বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের সেবা করার ক্ষেত্রে আমি আমার জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে চাই।

এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বলেন, বাংলাদেশে আবার জেওসিভিকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। দেশের ফিজিক্যাল থেরাপির উন্নয়নে তার জ্ঞান ও দক্ষতা বিশেষভাবে কাজে লাগবে।

জাইকা বাংলাদেশ কার্যালয়ের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, স্বেচ্ছাসেবকরা আমাদের সহযোগিতামূলক প্রোগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশের উন্নয়নে দেশের মানুষের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা এবং দুই দেশের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই স্বেচ্ছাসেবীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক স্বেচ্ছাসেবী বাংলাদেশে আসবেন।

মাঠপর্যায়ে বাংলাদেশের মানুষের পারস্পরিক সহযোগিতা ও স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে জেওসিভি প্রোগ্রামটি আবার চালু হলো। এ প্রোগ্রাম দেশের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বাংলাদেশের মানুষকে সহায়তা করতে এবং জ্ঞান ও দক্ষতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ