কেট এলিজাবেথ উইন্সলেট। এই বাংলায় পরিচিত তিনি রোজ নামে। টাইটানিকের রোজ। যে এখনও জাহাজের ডেকে দু’বাহু প্রসারিত করে সম্মোহিত করে রেখেছে গোটা দুনিয়াকে। অথচ তার যেন বয়স বাড়ে না। এখনও যেন ‘বাগদত্তা’ ষোড়শী যুবতী। যে প্রতিবার জাহাজডুবির পর গোলাপ হয়ে ফোটে। এ বছর ৪২ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ৫ অক্টোবরে জন্ম। মা স্যালি অ্যান ছিল ওয়াইন বারের ওয়েটার এবং বাবা রজার জন উইন্সলেট ছিল একজন সুইমিং পুল ঠিকাদার। এর ফাঁকে বাবা-মা দু’জনই খুচরা অভিনেতা। আর পারিবারিক অবস্থা খুব একটা ভালো না হওয়ার কেটের শৈশবটাও কেটেছে বেশ কষ্টে। ১৯৯১ সালে বিবিসির একটি টিভি ফিকশনের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করে কেট উইন্সলেট। এরপর মাত্র সতের বছর বয়সে ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম চলচ্চিত্র হেভেনলি ক্রিয়েচার। তবে কেট উইন্সলেট বিশ্বের কাছে ‘রোজ’ হয়ে ওঠে টাইটানিকে অভিনয় করে। তার পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। গ্ল্যামার দুনিয়ার সব আলো ওই একটি সিনেমা দিয়েই নিজের করে নেন তিনি। কেট উইন্সলেটের বাবা-মা উভয়েই মঞ্চ অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। শৈশব থেকে চলচ্চিত্র, নাটক, গানের প্রতি তার তীব্র ভালোবাসা ছিল, আর সে জন্যই মাত্র ১১ বছর বয়সে অভিনয় শেখার জন্য ভর্তি হন রেডরফ থিয়েটার স্কুলে। হেভেনলি ক্রিয়েচার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য কেট ১৭৫ জন মেয়ের সঙ্গে অডিশন দেয়। প্রথমে ভেবেছিলেন তিনি হয়তো পরিচালেকের দৃষ্টির বাইরেই রয়ে যাবেন। কিন্তু না, পরিচালক গোলাপ চিনতে ভুল করেননি। চলচ্চিত্রটিতে কেটের অভিনয় ৫১তম ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে সমালোচকদের ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। এ ছাড়া এ ছবিতে একটি থিম সংয়েও কণ্ঠ দেন কেট। ১৯৯৬ সালের জুনে নির্মাতা জেমস ক্যামেরন শুরু করেন তার ড্রিম প্রজেক্ট টাইটানিকের কাজ। যেখানে কেট উইন্সলেটের সঙ্গে নায়ক হিসেবে ছিল লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও। ১৯৯৭ সালে মুক্তির পর ছবিটি ব্যাপক সাড়া ফেলে। নতুন করে পথচলা শুরু হয় তার। সেই থেকে নতুন জীবনের শুরু। এখনও পথ চলছেন ষোড়শীর মতোই। বয়স যাকে আটকাতে পারেনি কখনও।