রাঙ্গুনিয়ার শস্যভাণ্ডার গুমাইবিল সহ ১৫টি ইউনিয়নের কৃষি জমিতে পোকা দমনে ‘আলোক ফাঁদ’ পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করছেন কৃষকরা। নামমাত্র খরচে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকরা ফসলের ক্ষতিকর পোকা দমনে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এতে যেমন কৃষকের অর্থের সাশ্রয় হবে তেমনি যথেচ্ছ ক্ষতিকর কীটনাশকের প্রভাব থেকে প্রকৃতিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি আমন মৌসুমে পুরো উপজেলায় ১৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে।
কিন্তু সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার কারণে এবার কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যতটুকু আবাদ অবশিষ্ট রয়েছে সেটি যাতে পোকার হাত থেকে রক্ষা পায় সেজন্য আলোক ফাঁদ পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করেছেন কৃষকরা। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে শস্যভাণ্ডার খ্যাত গুমাইবিল সহ ১৫ ইউনিয়নের ২৬টি স্পটে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়। এ আলোক ফাঁদের মাধ্যমে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের উপকারী ও ক্ষতিকর পোকা সম্পর্কে সচেতন করছেন। অনেক কৃষক জমিতে ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করার আগেই কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। এখন এর মাধ্যমে কৃষকেরা নিজেরাই ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বাংলানিউজকে বলেন, ধানক্ষেতে আলোক ফাঁদের মাধ্যমে ক্ষতিকর ও উপকারী পোকার উপস্থিতি সম্পর্কে জেনে কৃষক সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এর মাধ্যমে ধানের উপকারী পোকা সংরক্ষণ এবং ক্ষতিকর পোকা দমন করা যাবে।