• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন

নজরুলের ছোটগল্পে প্রবচনের ব্যবহার

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩
শাহীনুর রেজা

বাংলায় যা প্রবাদ-প্রবচন, ইংরেজিতে তাকে Aphorism বা Maxim বলে। প্রবাদ-প্রবচনের ভাষা হয়
তীক্ষ্ম, শাণিত, অন্তর্ভেদী ও অকাট্য সত্য। এতে কোন নতুন তত্ত্ব প্রচার করা হয় না, জানা কথাই পুনরায়
ভালো করে জানিয়ে দেওয়া হয়- কখনো বিদ্রুপের খোঁচায়, ব্যঙ্গের আঘাতে, কখনোবা সমবেদনার ইঙ্গিতে।
আকারে প্রবাদ-প্রবচন দীর্ঘ হয় না, দু-এক বাক্যের মধ্যে শেষ হয় সত্যটি।
ফারসি ভাষায় প্রবাচ-প্রবচন হলো ‘ভাষার অলঙ্কার’, আরবি ভাষায় ‘শব্দ-প্রদীপ’। এগুলো প্রাকৃতজন
থেকে উৎসারিত প্রাজ্ঞ-বচন। সেই অর্থে ফারসি ভাষায় বলা হয়েছে-‘একটি প্রবাদ উদ্ভাবন করে একজন এবং
তা বহুজনের জ্ঞানগর্ভ বাণীতে পরিণত হয়।’ প্রখ্যাত পাশ্চাত্য লোকতত্ত্ববিদ আর্চার টেইলর লিখেছেন, ‘লোকও
জনসমষ্টির ভেতরে প্রচলিত বচনই প্রবাদ।’ হিব্রু ভাষায় সুন্দরভাবে ব্যক্ত হয়েছে-‘মানব-জীবন প্রায়শঃ গড়ে
ওঠে প্রবাদের উপর ভিত্তি করে।’
প্রবচন সহজ-সরল অথচ সরল অথবা তির্যক ভাষায় সর্বজনগাহ্য ব্যঞ্জনাময় সংক্ষিপ্ত চুম্বক বাক্যে ব্যক্ত
হয়ে থাকে। লোকায়ত সমাজে ধাঁধা হলো বুদ্ধিবৃত্তিক, প্রবাদ-প্রবচন জ্ঞানভিত্তিক। এভাবে বিচার করলে দেখা
যায়-প্রবাদ-প্রবচন লোকশিক্ষার একটি মুখ্য হাতিয়ার। এর আরেকটি লক্ষ্য হলো নীতিমূলক। মানব চরিত্রের
পরস্পরবিরোধী আচরণ, স্বভাব, ব্যবহার এবং সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনার মাধ্যমে প্রবচন নীতি-শিক্ষাও প্রদান
করে থাকে।
ব্যাখ্যা বা দৃষ্টান্ত হিসেবে কোন বিষয়বস্তুকে স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলবার জন্য কিংবা স্বল্প কথায় একটি
বৃহৎ অর্থ প্রকাশের প্রয়োজনে প্রবচনের বিশেষ উপযোগিতা থাকলেও প্রবচনের জন্য প্রবচন সাধারণত: লেখা হয়
না। বাক্যালঙ্কার হিসেবে এগুলো কবিরা কখনো অধিক প্রচলিত কখনোবা নিজেরা রচনা করে তাদের লেখাকে
সমৃদ্ধ করেন।
প্রবাদ-প্রবচনের উদ্ভব কবে, কোথা থেকে তা নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও আন্দাজ করা যেতে পারে
যে, কালে কালে এগুলো মানুষের নিতান্ত মুখের ভাষা থেকে উৎসারিত হয়েছে। যা দৈনন্দিন জীবন ধারণের
অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। কাজেই এর ভাষা প্রয়োগে শিক্ষিত মার্জিত রুচি সব সময় আশা করা যায় না। তবে এর
প্রধান অবলম্বন রূপক ও বক্রোক্তি। আক্ষরিক এবং গুঢ়ার্থ এরমধ্যে অনিবার্যভাবে ধরা পড়ে।
বিশে^র প্রায় সব দেশের সব ভাষাকে নিজনিজ লেখকরা প্রাবাদ-প্রবচন ব্যবহার করেছেন। এ্যারিস্টটল,
অস্কার ওয়াইল্ড, গ্যোটে, পুস্ত, বার্নার্ডশ, ভলতেয়ার, লা রশফোকো প্রমুখ লেখকদের রচনায় প্রবচনের
ছড়াছড়ি।১ নাটকের বরপুত্র, বিশ^নাটকের কিংবদন্তী ইংরেজ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ার (১৫৬৪-
১৬১৬)-এর ৩৪টি নাটকে (ট্র্যাজেডি ১০টি+কমেডি ১৭টি+ঐতিহাসিক ৭টি) প্রবাদ-প্রবচনের অকল্পনীয়
উপস্থিত লক্ষ্য করা যায়। তাঁর কমেডি নাটক ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ ((THE MERCHANT OF VENICE)-এর
দ্বিতীয় অঙ্কের সপ্তম দৃশ্যে আছে জগদ্বিখ্যাত প্রবচন ‘‘All that glisters is not gold’

২ অর্থাৎ ‘যা কিছু
চকচক করে তাই সোনা নয়’। আমরা বলতে বলতেই বলি-‘চকচক করলেই সোনা হয় না।’ পৃথিবীর এমন
কোন দেশ বা অঞ্চল নাই, যেখানকার মানুষেরা বুঝে বা নাবুঝে এই প্রবচনটি মানে না বা বিশ^াস করে না।
বোধকরি এ জন্যই বলা হয়ে তাকে, পৃথিবীর এমনও দেশ আছে যেখানে ধর্ম প্রবেশ করেনি, অথচ সেখানে
শেক্সপিয়ার প্রবেশ করেছেন অনায়াসে।

 

বাংলা সাহিত্যের বরপুত্র, মহাপ্রতিভাধর কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) তাঁর সাহিত্য নির্মাণে
আমাদের লোক ঐতিহ্যের বিভিন্ন উপাদান দু’হাতে ব্যবহার করেছেন। ১০/১২ বছরের বালক নজরুলের ২
শতাধিক লেটো গানের বাণী বিশ্লেষণ করলে বিস্মিত হতে হয়। লোকজ উপাদান ছাড়াও ইসলামি ইতিহাস,
ঐতিহ্য, সনাতনী ঐতিহ্য, পুরাণ, প্রাচীন সাহিত্য, মহাকাব্য কী নেই তাঁর রচনায়। রচনার পরতে পরতে আছে
বাগধারা-প্রবাদ-প্রবচন, রচনাকে উপভোগ্য করার জন্য আছে পর্যাপ্ত Punning (আভিধানিক অর্থ শব্দ
কৌতুক, ব্যাপকার্থে একই ধ্বনি বিশিষ্ট কিন্তু বিভিন্নার্থক শব্দ প্রয়োগে সৃষ্ট হাস্য রস, শব্দ নিয়ে কৌতুক করা)।৪

এক খেয়ালের বসে মক্তব, মসজিদ, মাজার ছেড়ে লেটোদলে; আরেক খেয়ালের বসে লেটোদল ছেড়ে
স্কুলে। ছাত্রাবস্থায় ‘বিদায় কাব্যবাণী’, ১০৭ পংক্তির ‘ক্ষমা’ কবিতা, ‘রাজার গড়’; ‘রাণীর গড়’- সবগুলো রচনার
মধ্যে প্রচলিত লোকগাথার আমেজ। আধুনিক সাহিত্যের পুরোধা হয়েও তিনি লোকসংস্কৃতি এবং লোকজীবনের
বলয় থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। লোক সাহিত্যের বিচিত্র উপাদানে তাঁর সাহিত্য ভরপুর।
স্বল্প জীবনের সাহিত্য-জীবনে তিনি গান, কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, শিশু সাহিত্য,
ব্যঙ্গ রচনাসহ সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় সদম্ভ বিচরণ করেছেন। উল্লেখযোগ্যহারে এসব রচনায় প্রবাদ-প্রবচনবাগধারা পাওয়া যায়। এমনকি পত্রিকার নিয়মিত রচনা বা ব্যক্তিগত চিঠি-পত্রের মধ্যেও এসবের উপস্থিতি
লক্ষ্যণীয়।

কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর রচনায় দু’ভাগে প্রবাদ-প্রবচনের ব্যবহার করেছেন। এক প্রচলিত প্রবাদ-
প্রবচনের সরাসরি ব্যবহার, দুই প্রচরিত প্রবাদ-প্রবচনকে ভেঙে সরস এবং লাগসই ব্যবহার। এতে তাঁর
বাকচাতুর্য যেমন প্রকাশ পেয়েছে তেমনি ভাষায়ও এসেছে স্বাতন্ত্র।
আমরা কাজী নজরুল ইসলামের ছোটগল্পের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি-
গল্পকার কাজী নজরুলের গল্পের সংখ্যা ১৯টি। গল্পগ্রন্থ ৩টি। প্রথম-ব্যথার দান, গ্রন্থভুক্ত গল্প ৬টি।
১৯২২ সালে মোসলেম পাবলিশিং হাউস কলকাতা থেকে প্রকাশিত। গল্পগুলো হলো- ১. ব্যথার দান, ২. হেনা,
৩. বাদল বরিষণে, ৪. ঘুমের ঘোরে, ৫. অতৃপ্ত কামনা ও ৬. রাজবন্দীর চিঠি। দ্বিতীয়- রিক্তের বেদন, গ্রন্থভুক্ত
গল্প ৮টি। ১৯২৪ সালে ওরিয়েন্টাল প্রিন্টার্স এন্ড পাবলিশার্সলিমিটেড কলকাতা থেকে প্রকাশিত। গল্পগুলো
হলো- ১. রিক্তের বেদন, ২. বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী, ৩. মেহের নেগার, ৪. সাঁঝের তারা, ৫. রাক্ষুসী, ৬.
সালেক, ৭. স্বামীহার ও ৮. দুরন্ত পথিক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ গন্থের ‘বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী’ গল্পটি প্রথম
প্রকাশিত গল্প। যা নজরুল সৈনিক জীবনে লিখেছিলেন এবং জ্যৈষ্ঠ ১৩২৬ (মে ১৯১৯) সংখ্যায় ‘সওগাত’
পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিলো। তৃতীয়- শিউলিমালা, গ্রন্থভুক্ত গল্প ৪টি। ১৯৩১ সালে ডি.এম লাইব্রেরী
কলকাতা থেকে প্রকাশিত। গল্পগুলো হলো- ১. পদ্ম গোখরো, ২. জিনের বাদশা, ৩. অগ্নি-গিরি ও ৪.
শিউলিমালা।
৩টি গ্রন্থের মোট গল্পের সংখ্যা ১৮টি। ‘বনের পাপিয়া’ শির্ষক আরো একটি গল্প গবেষণায় পাওয়া
গেছে। যা কোন গ্রন্থভুক্ত হয়নি, তবে পরবর্তীতে রচনাবলীতে স্থান পেয়েছে। অর্থাৎ মোট গল্পের সংখ্যা ১৯টি।
এবারে গল্পগুলোতে ব্যবহৃত প্রবচন তুলে ধরছি-
১. যা কঠোর, তার ওপর কঠোরতা সহজেই আসে; কিন্তু যা কমল পেলব
নমনীয়, তাকে আঘাত করবে কে?৫
২. দুনিয়ায় যত রকমের আনন্দ আছে, তারমধ্যে এই বিচ্ছেদের ব্যথাটাই
হচ্ছে সবচেয়ে বেশি আনন্দময়।৬
৩. প্রেম চিরকালই পবিত্র, দুর্জয়, অমর; পাপ চিরকালই কলুষ, দুর্বল আর
ক্ষণস্থায়ী।৭
৪. দেবীর দেবীত্ব চিরকালই অটুট থাকে, বাইরের কলক্সেক তা কলক্সিকত
হয় না, বরং সংঘর্ষের ফলে তা আরও মহান উজ্জল হ’য়ে যায়।৮
৫. কামনা আর প্রেম, এ দুটো হচ্ছে সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। কামনা
একটা প্রবল সাময়িক উত্তেজনা আর প্রেম হচ্ছে ধীর প্রশান্ত ও
চিরন্তন।৯
৬. শরীরের বলের চেয়ে মনের বলের শক্তি অনেক বেশি।১০
৭. মানুষ যেটা ভাবে সবচেয়ে কাছে, সেইটাই হচ্ছে সবচেয়ে দূরে। এ
একটা মস্ত বড় প্রহেলিকা।১১
৮. অন্ধের লাঠি একবার হারায়।১২
৯. দুনিয়ার সব চেয়ে হেঁয়ালি হ‘চ্ছে মেয়েদের মন। ১৩
১০. যার নিজের বুকে বেদনা বাজে নি, সে পরের বেদনা বুঝবে না।১৪
১১. যার ভালোবাসায় বিশ^াস নেই, তার ওপর তো অভিমান করা চলে না।১৫
১২. সত্য-সৌন্দর্য বাইরে নয়, ভিতরে; দেহে নয়, অন্তরে।

১৩.কালো মানুষ বড্ডো বেশি চাপা অভিমানী। তাদের কালো রূপের জন্য
তারা মনে করে, তাদের কেউ ভালোবাসতে পারে না। কেউ
ভালোবাসছে দেখলেও তাই সহজে বিশ^াস করতে চায় না। বেচারাদের
জীবনের এইটেই সব-চেয়ে বড় ট্রাজেডি।১৭
১৪. যে ভালোবাসা দু’জনের দেহকে দু’দিক থেকে আকর্ষণ করে মিলিয়ে
দেয়, সে তো ভালোবাসা নয়, সেটা অন্য কিছু বা মোহ আর
কামনা।১৮
১৫. মন অমন একটা জিনিস বা মনের এমন একটা দূর্বলতা আছে যে, সে
সহজে কোন জিনিসের শক্ত দিকটা দেখতে চায় না। বুঝলেও অবুঝের
মত সে-দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে চলতে চায়।১৯
১৬. যা অন্তরের সত্য, সেইটাই আসল, সেইটাকে এড়িয়ে চ’ললেই
পাপ।২০
১৭. ভালবাসা দিয়ে যারা ভালবাসা পায় না, তাদের জীবন বড় দুঃখের বড়
যাতনার। আবার এইজন্যে সেটা এত যাতনার যে, ঐ না-ভালোবাসার
দরুন কাউকে অভিযোগ করবারও নেই। জোর করে তো আর কাউকে
ভালোবাসানো যায় না।২১
১৮.কোন মানুষেরই মন তার অধীন নয়।২২
১৯. মানুষ যে কত বড় ঘা খেয়ে অবিশ^াসী নাস্তিক হয়, তা যে নাস্তিক হয়,
সেই বোঝে।২৩
২০.নারীর অন্তরের রহস্য বড় জটিল, বড় গোপন।২৪
২১. যে থাকবে না, সে বাঁধন ছিঁড়বেই।২৫
২২.যে নিজকে সম্পূর্ণ রিক্ত ক’রে নিজের সর্বস্বকে বিলিয়ে দিতে না
পারল, সে ত ত্যাগী নয়।২৬
২৩. একটা ভালো কাজ ক’রে যা আনন্দ আর আত্মপ্রসাদ মনে মনে লাভ
করা যায়, তার অনেকটা নষ্ট ক’রে দেয় বাইরের প্রশংসায়।২৭
২৪. যে ভালোবাসবে না, তাকে ভালোবাসায় কে? যে বাঁধা দেবে না,
তাকে বাঁধে কে? ২৮
২৫. যে জন্মান্ধ, তার তত বেশি যাতনা নেই, যত বেশি যাতনা আর দুঃখ
হয়- একটা আঘাত পেয়ে যার চোখ দুটো বন্ধ হয়ে যায়।২৯
২৬. মনের তার ঠিক না থাকলে বীণার তারও ঠিক থাকে না। মন যদি
তোর বেসুরা বাজে, তবে যন্ত্রও বেসুরা বাজবে।৩০
২৭. পবিত্র জিনিসের পূজা পবিত্র জিনিস দিয়েই হয়। কলুষ যা, তা দিয়ে
পুতকে পেতে গেলে পূজারীর পাপের মাত্রা চরমে গিয়ে পৌঁছে।৩১
২৮. যে বুকে প্রেম আছে সেই বুকেই কামনা ওৎ পেতে বসে আছে।৩২
২৯.মানুষের মন মস্ত প্রহেলিকা। মন নিক্তির মতন যখন যেদিকে ভার
বেশি পায়, সেই দিকেই নুয়ে পড়ে।৩৩

৩০.যে মদ খায় তার ক্ষমা আছে, কিন্তু যাকে মদে খায় তার ক্ষমাও নেই,
নিস্তারও নেই।৩৪
৩১.মধু খুবই মিষ্টি, কিন্তু বেশি খাওয়ালেই গা জ¦ালা করে।৩৫
৩২.ভালবাসা- স্বর্গের এমন পবিত্র ফলকে কামনার শ^াসে যে কলক্সিকত
করে, তাঁর উপযুক্ত বোধহয় এখনও কোন নরকের সৃষ্টি হয় নাই।৩৬
৩৩. শাস্ত্র আর হৃদয়, অনেকটা তফাৎ।৩৭
৩৪. টাক আর টাকা দুটোকেই লুকিয়ে রাখতে হয়, নৈলে লোকে বড় নজর দেয়।৩৮
৩৫. ছেঁচা জল আর মিছে কথা নাকি গায়ে বড় লাগে।৩৯
৩৬. মৌনী পাহাড় কথা কয় না, কিন্তু সে যেদিন কথা কয়, সেদিন সে হয়ে ওঠে অগ্নি-
গিরি।৪০
৩৭. কালির লেখা মুছে যায়, জলের লেখা মোছে না।৪১
কাজী নজরুল ইসলামের ১৯টি গল্পের মধ্যে অনেকগুলি গল্পে প্রবচনের উল্লেখ নাই। যেমন- অতৃপ্ত
কামনা, বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী, রাক্ষুসী, দুরন্ত পথিক, পদ্ম গোখরো, জিনের বাদশা ও বনের পাপিয়া। এসব
গল্পে প্রবচন না থাকলেও প্রচলিত প্রবাদ-বাগধারা আছে বহুসংখ্যক। প্রবচনের ভাব-ভাষা নির্মাণে নজরুল
অত্যন্ত মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। যা তাঁর রচনায় মিশে অত্যন্ত বলিষ্ঠতা লাভ করেছে। ছোটগল্পে ব্যবহৃত
নজরুলের প্রবচনগুলি শুধুমাত্র নজরুল-সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেনি, বরং বাংলা সাহিত্যের ভান্ডারকে অত্যুজ্জল
করেছে।
তথ্য নির্দেশ:
১. হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ, অরুন্ধতী প্রকাশনী, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩, পৃষ্ঠা: ৭

2. Complete works of william shakespeare, oxford & IBH Publishing Co. Pvt.
Ltd., New Delhi, Page: 234

৩. চর্মাগীতি পদাবলী, সুকুমার সেন, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, আগস্ট
১৯৯৫, পৃষ্ঠা: ৫৫

৪. Bangla Academy English-Bengali Dictionary, August 1993, Page: 624

৫. গ্রন্থ: ব্যথার দান, গল্প: ব্যথার দান, নজরুলের ছোটগল্প, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি
২০০১, পৃষ্ঠা: ১৪
৬. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১৪
৭. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১৮
৮. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১৮
৯. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ২৩
১০. গ্রন্থ: ব্যথার দান, গল্প: হেনা, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ২৭
১১. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৩০
১২. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৩১
১৩. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৩৩
১৪. গ্রন্থ: ব্যথার দান, গল্প: বাদল বরিষণে, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৩৮
১৫. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৩৯

১৬. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৩৯
১৭. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৪০
১৮. গ্রন্থ: ব্যথার দান, গল্প: ঘুমের ঘোরে, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৪৬
১৯. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৪৭
২০. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৫১
২১. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৫৩
২২. গ্রন্থ: ব্যথার দান, গল্প: রাজবন্দীর চিঠি, পৃষ্ঠা: ৬৫
২৩. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৬৫
২৪. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৬৫
২৫. গ্রন্থ: রিক্তের বেদন, গল্প: রিক্তের বেদন, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৭৪
২৬. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৭৫
২৭. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৭৫
২৮. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ৮০
২৯. গ্রন্থ: রিক্তের বেদন, গল্প: মেহের নিগার, নজরুল গল্প সংগ্রহ, সাহিত্যম, কলকাতা, ১৯৯৮, পৃষ্ঠা: ১০৩
৩০. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১০৫
৩১. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১০৮
৩২. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১১০
৩৩. গ্রন্থ: রিক্তের বেদন, গল্প: সাঁঝের তারা, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১১৪
৩৪. গ্রন্থ: রিক্তের বেদন, গল্প: সালেক, নজরুলের ছোটগল্প, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি
২০০১, পৃষ্ঠা: ১১৪
৩৫. গ্রন্থ: রিক্তের বেদন, গল্প: স্বামীহারা, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১২৩
৩৬. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১২৬
৩৭. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১২৬
৩৮. গ্রন্থ: শিউলিমালা, গল্প: অগ্নিগিরি, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১৫৭
৩৯. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১৫৭
৪০. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১৬৩
৪১. গ্রন্থ: শিউলিমালা, গল্প: শিউলিমালা, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা: ১৭৩

 

লেখক : গবেষক, সাহিত্য ও সংগীত ব্যক্তিত্ব

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : দৈনিক সংবাদ সংযোগ                                                                   

 

Email: shahinurmusic70@gmail.com                             


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ