‘ঢাকা অ্যাটাক’ চলচ্চিত্রটি খুবই সফল হয়েছে। কেমন লাগছে?
অসাধারণ। আশা করতে পারিনি, দর্শক এতটা ভালোবাসা আর সমর্থন পাব।
চলচ্চিত্রটি নিয়ে কিছু বলুন।
গল্পটি একেবারেই অন্য রকম। এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। এখানে সোয়াট টিমকে উপস্থাপন করা হয়েছে। ভালো গল্প যে দর্শক গ্রহণ করে, তারই প্রমাণ হলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’। গল্পের ভেতরে থ্রিলার, পুলিশের পরিশ্রম, সাহসিকতা, দেশপ্রেম, ত্যাগ, মানবিকতা—এসবই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
ছবিতে আমার উপস্থিতি অল্প সময়ের জন্য। একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী। গর্ভবতী স্ত্রীর কাছে মিথ্যা কথা বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা চলে যান তাঁর দায়িত্ব পালন করতে। স্বামীর ওপর তাঁর অনেক অভিমান। এই পুলিশ কর্মকর্তা যখনই স্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন, তখনই স্ত্রীর চোখ ভিজে গেছে।অভিনয় করতে কেমন লেগেছে?
কাজটা করেছি আত্মবিশ্বাস থেকে। ছবিতে আমি খুবই আবেগপ্রবণ। যেখানে মারপিট চলছে, সেখানে আমার চরিত্রটা শুধু ইমোশন বহন করে। ছবিতে আমি গর্ভবতী। আমাকে এভাবেই সাজানো হয়। প্রতিদিন শুটিংয়ে যাই; আর এভাবে সেজেছি। সারা দিন এভাবেই থাকতে হয়েছে। একসময় মনে হচ্ছিল, আমি সত্যিই গর্ভবতী।
এই চলচ্চিত্র সবার কাছে কী বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে?
এমন চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হলে নিশ্চয়ই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে আসবেন। এই ছবিতে অনেক ভালো দিক আছে। যার মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ চলচ্চিত্রের জন্য আর পুলিশ বাহিনীর জন্য সুফল বয়ে আনবে। নতুন প্রজন্মের দর্শক আমাদের চলচ্চিত্রের ওপর ভরসা করতে পারবে। এই বিশ্বাস নিয়ে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এই এগিয়ে যাওয়াকে অব্যাহত রাখতে হবে।
যে অনুভূতির কথা কখনো ভুলবেন না?
চলচ্চিত্রটি দেখে একজন দর্শক আমার কাছে এসে রীতিমতো কেঁদে ফেললেন। ব্যাপারটি আমার কাছে অন্য রকম মনে হয়েছে। তিনি আমার অভিনয় দেখে বিশ্বাস করতে পারেননি আমি অভিনয় করেছি। তাঁর কাছে মনে হয়েছিল, আমরা বাস্তবের স্বামী-স্ত্রী।
নতুন কী কাজ নিয়ে এখন ব্যস্ত?
‘আলগা নোঙর’, ‘চন্দ্রাবতী’, ‘স্বপ্নবাড়ি’ আর ‘নাইনটি নাইন ম্যানশন’—এখন এই চারটি চলচ্চিত্রের কাজ করছি।