সৌদি আরব ও আবুধাবি থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বা ক্রুড অয়েল কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) এই জ্বালানি তেল কেনা হবে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পোল এবং সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের দরপ্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কর্তৃক ২০২৪ সালের জন্য জ্বালানি তেল ব্যবসায় বিশ্বের শীর্ষ কম্পানি সৌদি আরবের সৌদি আরামকো এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল সংস্থা (এডিএনওসি) থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অন্যদিকে, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃক জামালপুর জেলার সদর উপজেলায় ১৮০ মেগাওয়াট (এসি) সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের দরপ্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এতে ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে ওই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ দশমিক ৯৮৯ টাকা হিসাবে আনুমানিক ৬ হাজার ৪১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
একই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় ১৩০ মেগাওয়াট (এসি) সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে ওই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১১ টাকা হিসাবে আনুমানিক ৪ হাজার ৬৩৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অন্য এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ার্ড কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস টারবাইন-এর ক্ষতিগ্রস্ত কম্প্রেসর মেরামত সেবা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সুইজারল্যান্ডের জেনারেল ইলেকট্রিকের কাছ থেকে ১৬৭ কোটি ৯৮ লাখ ১৭ হাজার ২৬৭ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃক ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের লট-১ এর আওতায় ২৪ হাজার ৩০০টি এসপিসি পোল যৌথভাবে টিএসসিও পাওয়ার, কনফিডেন্স ইনফ্রাক্টসার লিমিটেড এবং ভিকার কনক্রিট পোডাক্টের কাছ থেকে ৬৯ কোটি ৪০ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮৭ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃক ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের লট-৩ এর আওতায় ২৪ হাজার ২৯৭টি এসপিসি পোল যৌথভাবে কনটেক কনস্ট্রাকশন, পোলেস অ্যান্ড কনক্রিট এবং পামা পোলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৬৯ কোটি ৩৯ লাখ ৬৫ হাজার ২৮৭ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।