• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৪২ অপরাহ্ন

হরতালের নামে সহিংসতা হলে সমুচিত জবাব —–ওবায়দুল কাদের

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৭

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বৃহস্পতিবার জামায়াতের ডাকা হরতালের নামে সহিংসতা করা হলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। তাদের সহিংসতার কোনো পজিটিভ রেজাল্ট নেই।

 

গতকাল বুধবার রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মেট্রোরেলের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হরতাল প্রতিরোধে মাঠে থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো প্রয়োজন নেই। সেই অবস্থা বিরোধীদের এখন নেই। সহিংসতা করলে উপযুক্ত জবাব তারা পাবে। তিনি বলেন, সহিংসতা সৃষ্টি করে কোনো আন্দোলন সফল করা যায় না সেটা জানুয়ারির নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে প্রমাণ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বিএনপি এবং তার সহযোগীরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। সহিংস রাজনীতির কোনো পজিটিভ রেজাল্ট নেই।

 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলার আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, উনি হতাশ হয়ে চোখের জল ফেলছেন। তার চেয়ারপার্সন কবে আসবেন তা কেউ জানে না। তাই তিনি কখনও এটা কখনও সেটা বলে নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনা মেট্রোরেলের কাজ একটু পিছিয়ে    দিয়েছে। কিন্তু জাইকার ফান্ডিং বন্ধ হয়নি। কাজ এখন পুরোদমে চলছে। কাজে কোনো গাফিলতি নেই। জাইকার পুরো টিম কাজ করে যাচ্ছে।

 

পদ্মাসেতুর সাথে তুলনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর পর পদ্মাসেতু যেভাবে দৃশ্যমান মেট্রোরেলও আগামী ছয় মাসের মধ্যে একইভাবে দৃশ্যমান হবে। মেট্রোরেলের কাজ এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ ভাগ শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রথম পর্যায়ে আগরগাঁও পর্যন্ত এবং ২০২০ সালে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত শেষ হবে। প্রসঙ্গত, জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার অর্থায়নে ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে জাইকা সহায়তা দিচ্ছে ১৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে মিরপুর, ফার্মগেট, শাহবাগ হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত মেট্রোরেলের ৬ নম্বর এই  রুটে থাকবে ১৬টি স্টেশন। প্রতি ঘণ্টায় উভয়দিকে ৬০ হাজার যাত্রী মেট্রোরেলে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এমআরটি লাইন-৬ হওয়ার পর এআরটি-১ এবং এমআরটি-৫ এর কাজ শুরু হবে। এ দুটি প্রকল্পের জন্যও জাপান সরকার বরাদ্দ করেছে। অর্থ বরাদ্দ একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। তাদের সঙ্গে আমাদের একটা ঋণচুক্তি হয়ে গেছে। প্রসেস ইজ আন্ডার ওয়ে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ