ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসো মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বহাল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ এই চুক্তিটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
থেরেসা মে টেলিফোনে ট্রাম্পকে জোর দিয়ে এই চুক্তির গুরুত্বের কথা বলেন। তিনি বলেন, চুক্তিটি সতর্কভাবে তদারকি করতে হবে এবং যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এই অযুহাতে চুক্তিটি বাদ দিতে পারেন ট্রাম্প।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন চুক্তিটিকে ঐতিহাসিক অর্জন বলেছিলেন। বুধবার তিনি ইরানের উপরাষ্ট্রপতি আলি আকবর সালেহির সঙ্গে লন্ডনে বৈঠক করেন। বৈঠকের আগে বরিস জনসন বলেন, আমরাও ইরানের কর্মকাণ্ডে উদ্বিগ্ন। তবে ইরান পরমাণু চুক্তি বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন। ২০১৫ সালে অনেক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে পরমাণু কর্মসূচি হ্রাস করতে সম্মত হয় ইরান। গত মাসে জাতিসংঘের অধিবেশনে ট্রাম্প বলেন, ইরান পরমাণু চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অস্বস্তিকর। বরিস জনসন বলেন, ট্রাম্প এবং থেরেসা মে এ ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একে অন্যকে জানানোর ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, সন্ত্রাসে সমর্থন ও সাইবার তত্পরতার বিরুদ্ধে নতুন কিছু প্রতিক্রিয়া শিগগিরই ঘোষণা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এমনটি বলা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হুকাবি স্যান্ডার্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শুধু একটি মাত্র বিষয়ে নজর দিচ্ছেন না। তিনি ইরানের সব বাজে আচরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।’ ‘শুধু পরমাণু চুক্তি নিয়ে বাজে আচরণ নয়, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি, সন্ত্রাসে রাষ্ট্রীয় সমর্থনে এক নম্বর হওয়া, সাইবার হামলা ও অবৈধ পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে নজর দেবেন প্রেসিডেন্ট, যোগ করেন সারাহ।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি আরো বলেন, ট্রাম্প ‘বিশদ একটি কৌশলের দিকে নজর দিচ্ছেন, যাতে সবগুলো বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, নির্দিষ্ট কোনোটি নয়’। ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধে দেশটির সঙ্গে বিশ্ব শক্তিগুলোর করা পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার বিষয়ে নিজের অবস্থানের কথা জানাতে পারেন ট্রাম্প। এতে করে চুক্তিটি অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে। আরেক কর্মকর্তা জানান, ১২ অক্টোবর ইরানের বিষয়ে বক্তব্যে দেওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।