২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আসন্ন রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জেলার ৫ উপজেলার ৫০০ কৃষক সার-বীজ পাবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপরিচালক আঃ কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, মসুর আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১২০ জন কৃষক, মুকসুদপুর উপজেলায় ১১০ জন কৃষক, কাশিয়ানী উপজেলায় ১১০ জন কৃষক, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৮০ জন কৃষক ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮০ জন কৃষক প্রণোদনা পাবেন।
প্রত্যেক কৃষককে ১ বিঘা করে (৩৩ শতাংশ) জমি আবাদের জন্য ৫ কেজি করে গম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ৫ কেজি করে এমওপি সার বিনামূলে বিতরণ করা হবে। সেজন্য ২ হাজার ৫০০ কেজি বীজ, ৫ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ২ হাজার ৫০০ কেজি এমওপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরাদ্দের চিঠি এসছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬০০ কেজি বীজ, ১ হাজার ২০০ কেজি ডিএপি সার ও ৬০০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে। মুকসুদপুর উপজেলায় ৫৫০ কেজি বীজ, ১ হাজার ১০০ কেজি ডিএপি সার ও ৫৫০ কেজি এমওপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কাশিয়ানী উপজেলায় ৫৫০ কেজি বীজ , ১ হাজার ১০০ কেজি ডিএপি সার ও ৫৫০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে।
কোটালীপাড়া উপজেলায় ৪০০ কেজি মসুর বীজ, ৮০০ কেজি ডিএপি সার ও ৪০০ কেজি এমওপি সারের সহায়তা পাচ্ছেন কৃষক। টুঙ্গিপাড়ায় ৪০০ কেজি বীজ, ৮০০ কেজি ডিএপি সার ও ৪০০ কেজি এমওপি সার পাবেন কৃষক । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-রিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, প্রণোদনার সার-বীজ পেয়ে কৃষক ৫০০ বিঘা জমিতে মসুরের আবাদ করবেন। ৫০০ বিঘা জমিতে মসুরের আবাদ করে কৃষক মসুরের উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন। এর মাধ্যমে দেশে ডাল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।