জেলায় শুরু হয়েছে নতুন আমন ধান কাটা-মাড়াই। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত জমিতে থাকা আবাদের ৩৫ ভাগ কাটা পড়েছে। অনকূল আবহাওয়ায় কারণে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানোর আশা করছে কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এবার রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ১২ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৫০ হাজার ৪২৮ মেট্রিকটন চাল। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ১৭২ হেক্টর জমিতে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৩৫ ভাগ পাকা ধান কাট হয়েছে। এবার অনুকূল আবহাওয়ায় যেহারে ফলনের মাত্রা দেখো যাচ্ছে তাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
শনিবার সকালে জেলা সদরের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে মাঠভরা আমন ধানের আবাদ। কোথাও পুরোমাঠ ছেয়ে রয়েছে সেনালী রঙে। আবার কোথাও মাঠজুড়ে কাচা পাকা ধান। মাঠে ছড়িয়ে ছিঠিয়ে কৃষকরা শুরু করেছেন ধান কাটা। অনেকে ধান কেটে শুকানোর জন্য ফেলে রেখেছেন মাঠে। আবার অনেকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাড়িতে।
জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা গ্রামের কৃষক স্বপন রায় (৩৫) জানান, এবার আমন ধানের আবাদ করেছেন পাঁচ বিঘা জমিতে। দুই বিঘা জমির আগুর জাতের ধান কেটে মাড়াই করার জন্য এনেছেন বাড়িতে।
একই উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের সুখধন গ্রামের কৃষক ছানোয়ার হোসেন (৪৫) বলেন,‘ পাঁচ বিঘা জমিতে আগুর জাতের ধান আবাদ করেছি। এক সপ্তাহ আগে কেটে শুকানোর জন্য জমিতে রেখেছি। এলাকার অনেকেই নতুন ধান মাড়াই করে ফলন ভালো পেয়েছেন। আশা করছি আমিও ফলন ভালো পাবো’। বাজারে নতুন ধান এক হাজার ১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস, এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন,‘ জেলায় এবার রোপা আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৫০ হাজার ৪২৮ মেট্রিকটন চাল। মৌশুমের শেষের দিকে চাহিদা মাফিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। এতে করে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। বিঘায় ফলন পাওয়া যাবে গড়ে ১৩ থেকে ১৪ মণ পর্যন্ত’।
তিনি বলেন,‘এখন আগাম জাতের ধান কর্তন চলছে। নতুন ধান যারা বিক্রি করছেন দাম ভালোই পাচ্ছেন’।